
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বৈঠক করবে। তবে একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার দৃষ্টিতে এই ধরনের চুক্তি খুব একটা প্রয়োজনীয় নয়।
বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন,
“আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা হয়তো একটা চুক্তি করব, জানি না। তবে আমার কাছে এটা খুব জরুরি কিছু না। ওরা যুদ্ধ করেছে, এখন নিজেদের পথে ফিরে যাচ্ছে। আমার চুক্তি থাক বা না থাক, তাতে কিছু যায় আসে না।”
ট্রাম্প আরও বলেন, তার প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনায় যেসব প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল, এবারও সেই একই ধরনের প্রতিশ্রুতি চাওয়া হবে।
“আমরা কেবল আগেও যা চেয়েছিলাম, তাই চাইব,” বলেন তিনি।
ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছে এবং সেজন্যই নতুন করে কোনো পারমাণবিক চুক্তির প্রয়োজন নেই। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের প্রাথমিক বিশ্লেষণে সে দাবি পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি।
“আমরা চাই না ওদের কাছে পারমাণবিক কিছু থাকুক। তবে আমরা সেটি ধ্বংস করে দিয়েছি। অন্যভাবে বললে, ওটা উড়ে গেছে—একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি বলেছিলাম, ‘ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না।’ আর তাই হয়েছে। যদি কোনো দলিল হয়, সেটা খারাপ হবে না। আমরা বৈঠক করব,” বলেন ট্রাম্প।
তিনি আরও জানান, তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিওকে মঞ্চে ওঠার আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তারা কি কোনো চুক্তির খসড়া তৈরি করতে চান কিনা। ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইরানকে এমন একটি দলিলে স্বাক্ষর করানো সম্ভব।
রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তি সম্পন্ন হওয়া নির্ভর করছে ইরানের ওপর—তারা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয় কি না, তার ওপর। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা নয়, সরাসরি আলোচনার পথেই যুক্তরাষ্ট্র অগ্রসর হতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝে নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিল ওয়াশিংটন। এখন দেখা যাবে, ইরান এ বৈঠকে কতটা সাড়া দেয় এবং পারমাণবিক চুক্তি আদৌ হয় কি না।
সূত্রঃ সিএনএন