Image description
ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ

বাণিজ্য ঘাটতি দূর না হওয়া পর্যন্ত শুল্ক বহাল থাকবে :: আলোচনায় আগ্রহী ৫০টিরও বেশি দেশ :: প্রতিশোধ নেবে না ইন্দোনেশিয়া-থাইল্যান্ড :: মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস :: কানাডার আগামী নির্বাচনে যে প্রভাব ফেলছে ট্রাম্পের নীতি
মাত্র চার মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ এর মধ্যেই ট্রাম্প এবং তার অন্যতম উপদেষ্টা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়েছেন আমেরিকার মানুষ। শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা। নতুন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে, ‘হ্যান্ডস অফ’! সেই ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা। তাই প্রতিদ্ব›দ্বী ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি। রোববার মাস্ককে কটাক্ষ করে কমলা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ আমাদের দেশের প্রতিটি কোণে কোণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকানরা। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিক্ষোভকারী শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর এই সব ‘অনির্বাচিত ধনকুবেরদের’ কণ্ঠকে ছাপিয়ে যাক।’

উল্লেখ্য, ট্রাম্প যে ভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে ক্ষুব্ধ হাজার হাজার আমেরিকান। প্রতিবাদে শনিবার থেকে আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে মিছিল এবং সমাবেশ চলছে। বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী-সহ ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী দেশের ১,২০০ টিরও বেশি এলাকায় এই ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের আয়োজন করে। তবে সমাবেশগুলি শান্তিপূর্ণ ছিল, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও গ্রেফতারির খবরও পাওয়া যায়নি।

শনিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন এবং ওয়াশিংটনের রাস্তায়। শয়ে শয়ে মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনও রাজা নেই। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।’ ট্রাম্পের পাশাপাশি টেসলা-কর্তা মাস্কের বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। শুধু আমেরিকাই নয়, বিক্ষোভ হয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পর্তুগাল, মেক্সিকো এবং পুয়ের্তো রিকোয়।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টপদে বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে বিবিধ প্রশাসনিক পদে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসী বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে। এ সব নিয়েই ক্ষুব্ধ তার সমর্থকদের একাংশ। সাম্প্রতিক কালে, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে দেশের বাইরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে এ সব সত্তে¡ও অবিচল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

বাণিজ্য ঘাটতি দূর না হওয়া পর্যন্ত শুল্ক বহাল থাকবে : বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে শুল্কারোপকে কার্যকরী ‘ওষুধ’ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন, ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আলোচনায় একমত না হওয়া পর্যন্ত ট্যারিফ অব্যাহত থাকবে। রোববার (৬ এপ্রিল) এ হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সমস্যা ঠিক করতে হলে মাঝে মাঝে আমাদের ওষুধ খেতে হয়। আর বর্তমান প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ওষুধ হল এই ট্যারিফ। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ভালোর জন্যই ট্যারিফ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, চীন ও ইউরোপ মার্কিন পণ্য কম কেনে। ফলে তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। অপরদিকে শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত থাকলেও, শর্ত জুড়ে দেন বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।

আলোচনায় আগ্রহী ৫০টিরও বেশি দেশ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কে বিচলিত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ইতোমধ্যে ধস নেমেছে বেশ কয়েকটি দেশের পুঁজিবাজারে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় পাল্টা শুল্ক আরোপের বদলে অনেক দেশই আলোচনার পথে হাঁটছে। ট্রাম্পের এক শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৫০টি দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউসে ধর্না দিয়েছে।

প্রতিশোধ নেবে না ইন্দোনেশিয়া-থাইল্যান্ড : সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। কোন দেশের ওপর কত হারে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ হবে, সংবাদ সম্মেলনে তার একটি তালিকাও তুলে ধরেন তিনি। সেখানেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।

আর এরই প্রতিক্রিয়ায় এবার নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে থাইল্যান্ড। দেশটি আমেরিকা থেকে পণ্য আমদানি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে আরও থাই বিনিয়োগ উৎসাহিত করার ঘোষণাও দিয়েছে ব্যাংকক। এছাড়া মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় আলোচনার পথে হাঁটার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়া। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ট্রাম্প প্রশাসনের মার্কিন বাজারে থাই পণ্য রপ্তানির ওপর নতুন আরোপিত ৩৬ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় থাইল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি, বিমান এবং কৃষি পণ্য আমদানি বৃদ্ধি করবে বলে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা রোববার ঘোষণা করেছেন। থাই পিবিএস অনুসারে, থাই মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় সিনাওয়াত্রা বলেন, তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রে আরও থাই বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং আমেরিকান পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করবে।

এদিকে মার্কিন শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে থাই অর্থমন্ত্রী পিচাই চুনহাওয়াজিরা মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে একটি সরকারি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক ব্যবস্থা মোকাবিলায় ক‚টনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হার্টার্তো রোববার অন্তরা নিউজকে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ইন্দোনেশিয়ান পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করায় জাকার্তা আলোচনা শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক বাস্তবায়নের পরিবর্তে হার্টার্তো বলেন, ইন্দোনেশিয়ার লক্ষ্য ক‚টনীতি এবং সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমাধান খুঁজে বের করা।

মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে ওয়াল স্ট্রিটে হাহাকার। খাদে নেমেছে আমেরিকার শেয়ার সূচক। রাতারাতি কয়েক কোটি ডলার উবে যাওয়ায় মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। প্রায় চার দশক আগে স্টকের সূচকের রেকর্ড পতনের জেরে অর্থনীতিকে ‘বেসামাল’ হতে দেখেছে আমেরিকাবাসী।

গত ২ এপ্রিল রাজধানী ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে পারস্পরিক শুল্কনীতির কথা ঘোষণা করেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প। ৯ তারিখ থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করছে তার প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন শুল্ক নীতি চালু করার আগেই আটলান্টিকের পারে হু-হু করে নামতে থাকে শেয়ার সূচক। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞ জিম ক্র্যামার। ৬ এপ্রিল আমেরিকান টিভিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে ক্র্যামার বলেন, পারস্পরিক শুল্ক নীতি চালু হলে আর এক বার ১৯৮৭ সালের রক্তক্ষরণ প্রত্যক্ষ করবে ওয়াল স্ট্রিট। ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে ‘প্রতিশোধমূলক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শেয়ার বাজারের রক্তপাত এড়াতে ‘ম্যাড মানি’ অনুষ্ঠানে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ক্র্যামার। অবিলম্বে নিয়ম মেনে চলা দেশগুলির সঙ্গে ট্রাম্পকে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, ১৯৮৭ সালের ‘কালো সোমবার’-এর কারণ ব্যাখ্যা করতে শোনা গিয়েছে তাকে। ‘কালো সোমবার’-এ আমেরিকার শেয়ার সূচকের মেগা পতনের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে বিশ্বব্যাপী স্টকের বাজারে আসে মন্দা। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের আর একটি শেয়ার সূচক এস অ্যান্ড পি ৫০০ কমেছিল প্রায় ৩০ শতাংশ।

চলতি বছরের ৪ এপ্রিল সবচেয়ে খারাপ ট্রেডিং সেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে মার্কিন শেয়ার বাজার। ওই দিন প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ নেমে যায় ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ। কোভিড মহামারির পর আর কখনও এতটা রক্তাক্ত হয়েনি ওয়াল স্ট্রিট। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে পাঁচ লাখ কোটি ডলার।

এ পরিস্থিতিতে ক্র্যামারের ‘কালো সোমবার’ ২.০-র সতর্কবার্তাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দুনিয়ার তাবড় আর্থিক বিশ্লেষকেরা। তার কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট যদি অবস্থান বদল না করেন, তা হলে আমাদের আরও খারাপ দিন দেখতে হবে। নিয়ম মেনে চলা যে সংস্থাগুলির লোকসান হচ্ছে, তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে ‘কালো সোমবার’ আর বেশি দূরে নেই।’’ ক্র্যামারের সাক্ষাৎকার দেয়ার দিনে (৬ এপ্রিল) ডাও জোন্স ১,৪০৫ পয়েন্ট নেমে যায়। এস অ্যান্ড পি ৫০০ ফিউচার ৪.৩ শতাংশ এবং ন্যাসড্যাক-১০০ ফিউচার ৫.৪ শতাংশ কমেছে। এগুলি সবই সম্ভাব্য ‘কালো সোমবার’-এর ইঙ্গিত বহন করছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

কানাডার আগামী নির্বাচনে যে প্রভাব ফেলছে ট্রাম্পের নীতি : আগামী ২৮ এপ্রিল কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ, তার সংযুক্তির হুমকি এবং কানাডার শেষ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এ নির্বাচনকে ব্যপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

বার্তা সংস্থা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস উপলব্ধ জনমত জরিপগুলি পর্যালোচনা করেছে, গুণমান এবং ধারাবাহিকতার জন্য সেগুলি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করেছে। যখন ট্রাম্প ফেব্রæয়ারির শুরুতে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন এবং জাতির সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে শুরু করেছিলেন, তখন তিনি কয়েক মাসের ভোটের প্রবণতা উল্টে দিয়েছিলেন: উদারপন্থীদের পক্ষে সমর্থন বেড়েছে এবং রক্ষণশীলদের পক্ষে সঙ্কুচিত হয়েছে। সমাত্র আট সপ্তাহের মধ্যে, কনজারভেটিভ পার্টির ২০-প্লাস-পয়েন্টের লিড অদৃশ্য হয়ে যায়, এবং এখন লিবারেলরা জরিপে গড়ে ছয় শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে।

কানাডিয়ানরা ধারাবাহিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনাকে দেশের মুখোমুখি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এবং অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুসারে, এই বছর অন্য দল থেকে লিবারেল পার্টিতে তাদের অভিপ্রেত সমর্থন পরিবর্তনকারী ভোটারদের মধ্যে ৫১ শতাংশ বলেছেন যে ট্রাম্পের পদক্ষেপ তাদের এই সিদ্ধান্তের দুটি প্রধান কারণের মধ্যে একটি।

লিবারেলরাও নতুন মুখের কারণে উপকৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে জয়লাভের পর দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যিনি জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং গত মাসে পদত্যাগ করেছিলেন। অ্যাঙ্গাস রিডের একই জরিপে আরও বেশি অংশ - ৫৬ শতাংশ - পাওয়া গেছে যে কার্নি লিবারেলদের প্রতি তাদের সমর্থন স্থানান্তরিত করার দুটি প্রধান কারণের মধ্যে একটি। কার্নি হলেন একমাত্র জাতীয় দলের নেতা যার জনপ্রিয়তা তার দলের চেয়েও বেশি। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স, বাজফিড।