
বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) নিয়োগের বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সংক্রান্ত নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ফখরুল ইসলাম এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাভোকেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোনয়নের বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ রুলের জবাব দিতে আগামী চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মে সামান্য সংশোধন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা অথবা চাকরিরত অথবা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার কথা পলিসি লেভেল থেকে ঠিক করা হয়েছে। শুধু সভাপতি পদটির জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।