
ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ-ই-আলমকে অবরুদ্ধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আন্দোলনের সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, একটি পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পর তারা জেলে রয়েছেন। বিষয়গুলো তাদের জানানোর পর আর কিছু না পেয়ে বলছে, ‘উপাচার্য ফ্যাসিবাদী ভিসি, তাকে নামতে হবে’। ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী এসব বলার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ডিপার্টমেন্ট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। সন্ধ্যার পর উপাচার্যসহ রেজিস্ট্রার অফিসে প্রবেশ করলে তাদের অবরুদ্ধ করে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়। পরে সাবেক কয়েকজন উপস্থিত হলেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় পরিস্থতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার সময়ের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারীরা বিশ্ববদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি এবং ফ্যাসিস্ট আমলে উপাচার্যের নিয়োগের বিষয়টি সামনে আনেন। তবে উপাচার্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিকদার নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, উপাচার্য বাসায় সুস্থ আছেন। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক আছে।