Image description

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি পদ ও হল সংসদের ১৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ১৮৭ জন। এছাড়া নির্বাচনে ৩৯টি কেন্দ্রে মোট ১৭৮টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জকসু নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন। নির্বাচনে চারটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’, ছাত্রশক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ এবং বামপন্থি দলসমর্থিত ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’।

নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে লড়ছেন ১২ জন, জিএস পদে ৯ জন, এজিএস পদে ৮ জন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে ৭ জন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ৫ জন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে ৫ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ৮ জন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ৭ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৮ জন, পরিবহন সম্পাদক পদে ৪ জন, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১০ জন, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে ৬ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন ৫৭ জন। 

এবার জকসুতে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। নির্বাচনে ৩৯টি কেন্দ্রে ১৭৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতি ১০০ ভোটারের জন্য একটি করে বুথ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান জানান, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথম জকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হওয়ার প্রত্যাশা করছেন অংশগ্রহণকারী প্যানেলগুলো।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা চাই, সব শিক্ষার্থী ভাই-বোনেরা ভোট দিতে আসুক। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিক। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ থাকুক এটাই প্রত্যাশা।’ 

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অতীতের ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। তবে আমাদের প্রত্যাশা, শিক্ষার্থীরা যেন আনন্দ ও নিরাপত্তার সঙ্গে ভোট দিতে পারে। কমিশনকে সে দায়িত্ব নিতে হবে।’