কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবীর আর নেই—এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো জেলায়। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আমিমুল ইহসান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা একজন অভিভাবকতুল্য নেতাকে হারালাম।’
রায়হান কবীর ছিলেন কুড়িগ্রাম আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সুযোগ্য সন্তান। বাবার আদর্শ ও সততার শিক্ষা ধারণ করে তিনি আজীবন রাজনীতিকে দেখেছেন মানুষের সেবার এক অনন্য মাধ্যম হিসেবে।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও দল ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কখনো পিছিয়ে যাননি তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে একাধিকবার গেলেও রাজনৈতিক দায়িত্ব ও সহযোদ্ধাদের ডাকে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন মাঠের রাজনীতিতে।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও স্বজনদের প্রার্থনার মাঝেই শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই ত্যাগী নেতা।
রায়হান কবীরের মৃত্যুতে কুড়িগ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোক। দলীয় কার্যালয় থেকে রাজপথ সবখানেই তার অবদান ও স্মৃতিচারণ করছেন নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলছেন—‘ভালো মানুষটা খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল।’
তার অকাল প্রয়াণে যুবদল, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গভীর শোক ও বেদনায় ভেঙে পড়েছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা একজন ত্যাগী, সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ সহযোদ্ধাকে হারালাম। আল্লাহ পাক যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন—আমীন।’