গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (ইআবি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ আইউব হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে জানানো হয়, পাঠদান বন্ধ থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ছাড়াও তা’মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি মুহাম্মদ ইকবাল কবিরের আবেদনের মাধ্যমেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারে। পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর পাঠদান দ্রুত সচল করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক দাবি উল্লেখ করে ৩ শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের উপর মারধরের অভিযোগে বহিষ্কার করেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর কোরবান আলী।
এর পরদিন ১৯ নভেম্বর থেকে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বর্তমানে মাদ্রাসায় শুধুমাত্র শিশু থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়া অন্য কোনো একাডেমিক কার্যক্রম চলছে না।
শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৫ জন শিক্ষক আহত হন এবং একাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করেন। তাদের দাবি— বহিষ্কার করা ৩ শিক্ষকের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করতে হবে। না হয় তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। এদিকে, মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে হতাশা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।