
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে ব্যবসা প্রশাসন অনুষদসহ পাঁচটি ভবনে৷ তবে কেন্দ্রীয় ফলাফল ঘোষণা করা হবে বিবিএ অনুষদে অবস্থিত অডিটোরিয়াম থেকে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষমাণ সময়ে গানে গানে ভোটগণনা কেন্দ্র পাহারা দিচ্ছে শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা৷ এতে দুদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অনুষদের বাহিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা সতর্ক রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিবি অনুষদের ভেতরে নিচতলায় একটি কক্ষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা হচ্ছে। ওই কক্ষে সব কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স নেওয়া হয়েছে৷ মোট ১২ জন শিক্ষক ভোট গণনার দায়িত্বে রয়েছেন৷ এছাড়া প্রার্থীদের এজেন্ট ও গণমাধ্যমকর্মীরাও রয়েছেন৷ প্রথমে ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট ঢেলে শিক্ষকদের মাঝে বণ্টন করা হচ্ছে৷ পরে ভাঁজ করে মেশিনে রাখা হলে দ্রুত গণনা করার পর কম্পিউটারে ইনফুট দেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনে৷ ৭০০ বুথের ৬১ টি কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রীয়করণের পর বিবিএ অনুষদে আনা হবে। এরপর ঘোষণা করা হবে অডিটোরিয়াম থেকে।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাসে দু'পক্ষই এলইডি স্ক্রিন নিয়ে মুখোমুখি হলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। রাত আটটার দিকে বিবিএ অনুষদের সামনে শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী সিঁড়িতে বসে গান গাইতে শুরু করেন৷ এরপর তাদের নেতাকর্মী সংখ্যা বাড়তে থাকে৷ পর্যায়ক্রমে শিবির ইসলামী সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকে। রাত নয়টার পর পাশাপাশি সিঁড়িতে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এসময় তারা গান না গাইলেও রাত এগারোটা থেকে শিবিরের মতো তারাও গলা ছেড়ে গান ধরেন। এসময় তারা দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকে৷ এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসীন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ নেতাকর্মীরা নীরবে বসেছিলেন।
রাত এগারোটার পর দু'পক্ষই বিভিন্ন ধরনের গান গাইতে শুরু করেন। এসময় শিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনিকে দেখা গেলেও ছাত্রদলের ভিপি, জিএস প্রার্থীদের দেখা যায়নি৷ আর ভেতরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোটগণনা চলছে৷ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছাত্রদল বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগান দিচ্ছেন আর শিবির গান গাইছে।
জানা যায়, ফলাফল ঘোষণা হতে রাত দেড়টা বাজতে পারে। তবে ডাকসুর মতো নির্বাচনের ফলাফল সকালেও ঘোষণা হতে পারে বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে। অপরদিকে ছাত্রদল প্যানেল একটি হোস্টেলে এগিয়ে থাকায় এজিএস পদে বিজয়ী হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে৷ আর রেকর্ড পরিমাণ ভোটে শিবিরের জয়ের গুঞ্জন ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে সবার মুখে মুখে।