Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের অক্সিজেন–হাটহাজারী সড়কের এক নম্বর গেট এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বিএনপি–ছাত্রদল ও জামায়াত–ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা।

এদিকে এখনো একাধিক হলে ভোট গণনা চলমান থাকায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়নি। 

সরেজমিনে দেখা গেছে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত বারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকায় ছাত্রদল-বিএনপি ও শিবির-জামায়াত  মুখোমুখি অবস্থান রয়েছে।

রাস্তার একপাশে শিবির-জামায়াত ও বিপরীত পাশে ছাত্রদল-বিএনপি নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানও রয়েছে। কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা হলেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন নেতাকর্মীরা। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

ছাত্রদলের চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বহিরাগত শিবির কর্মীরা এসে উসকানিমূলক আচরণ করছে। তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছে।

অন্যদিকে শিবির সমর্থিত জোটের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ছাত্রদল এসে স্লোগান দিয়ে উসকানি দিচ্ছে। আমরা সংঘর্ষ চাই না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ভবনে এখনো ভোট গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক কেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, আনুমানিক ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। চাকসুর ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলাফল ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপন করা ১৪টি এলইডি স্ক্রিনে তা সরাসরি দেখানো হচ্ছে।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখ এক নম্বর গেইট এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলেও কোন ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। দু'পক্ষকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে অনেকেই সরে গেছেন।