Image description

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে নতুন নির্দেশ দিয়েছে।

তারা জানিয়েছে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া কিস্তির অর্থ ছাড়বে না এবং নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পরই অর্থ প্রদান করা হবে।

ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা ছিল।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বার্ষিক সভার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আইএমএফ-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে আইএমএফ ইঙ্গিত দিয়েছে, নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে ঋণ ও সংস্কার শর্তের বিষয়ে আলোচনা করতে চায়।

গভর্নর ড. আহসান বলেন, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ শক্তিশালী এবং ডলারের বাজার স্থিতিশীল, তাই ঋণের কিস্তি না পেলে তেমন সমস্যা হবে না। তবে আইএমএফ-এর নীতি ও সহায়তা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

যুগান্তর
ছবির ক্যাপশান,যুগান্তর

কালের কণ্ঠ পত্রিকার আজকের শীর্ষ খবর - তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফেরার অপেক্ষা

এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে- বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার দিকে এখন সবার চোখ। তারই লক্ষ্যে আজ আপিল বিভাগে হবে শুনানি। নানা ঘটনা পরম্পরার পর এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শুনানির পরই আসবে কাঙ্ক্ষিত রায়।

শেখ হাসিনার পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সেই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গত বছর ২৭ আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে ছয়টি আবেদন করেন বিভিন্ন ব্যক্তি। এসব আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর একটি আবেদনে আপিলের অনুমতি দেন।

আজ (মঙ্গলবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই আপিলের শুনানি হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৬ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে মামলাটি।

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছর ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

পঞ্চদশ সংশোধনীর যেসব অংশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়, তার মধ্যে ত্রয়োদশ সংশোধনী অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করার অংশটিও আছে।

হাইকোর্টের এই রায়ের পর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বহাল বা পুনঃস্থাপন হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি।

বণিক বার্তা
ছবির ক্যাপশান,বণিক বার্তা

এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে গত এক দশকে সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিপুল ব্যয়ের সুফল দৃশ্যমান নয়।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে- যেমন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন না করেই সম্মানী-ভাতা উত্তোলন, স্বাক্ষর জাল করা, বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট, ও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে অর্থ আত্মসাত।

অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত প্রশিক্ষণে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, ২০২৪-২৫ সালে প্রায় ৩ হাজার কোটি এবং চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

প্রথম আলো
ছবির ক্যাপশান,প্রথম আলো

প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার খবর - নির্বিচার গ্রেপ্তার বন্ধে ৬ মানবাধিকার সংগঠনের চিঠি।

এই খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

তারা বাংলাদেশে সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে তারা এ–ও বলেছে, অবিলম্বে নির্বিচার গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে এবং গ্রহণযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহার বা খারিজের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

যৌথভাবে চিঠিটি দিয়েছে এইচআরডব্লিউ, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষায় কাজ করা দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংস্থা সিভিকাস, রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করা মানবাধিকার সংগঠন থাইল্যান্ডভিত্তিক ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।

ইত্তেফাক
ছবির ক্যাপশান,ইত্তেফাক

ইত্তেফাক পত্রিকার আজকের খবর- দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষকরা

দশম দিনে পৌঁছেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন। মূল বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবি নিয়ে তারা অনড়। দাবিতে গত সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা।

রোববার সরকার মূল বেতনের ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা। পাশাপাশি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মবিরতি চলছে।

শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী প্রথম ধাপে বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ এবং পরের বছরে ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ শতাংশের বেশি দিতে চায় না। দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই মতবিরোধই মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্দোলন শুরু হয় 'এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট' ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে।

গত সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশের পর জোট নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি জানান, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ পর্যন্ত কালো কাপড় বেঁধে মিছিল হবে এবং প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা জেলা ও উপজেলা সদরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।

তারা ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দাবি পূরণের সময় বেধে দিয়েছে, এরপরও সাড়া না পেলে ঢাকায় যমুনা নদী ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে। এদিকে অনশনরত চার শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন।

নিউ এইজ
ছবির ক্যাপশান,নিউ এইজ

নিউ এইজ পত্রিকার আজকের প্রধান খবর - Number of English, math teachers drops, instts rises অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়লেও কমেছে ইংলিশ ও গণিত শিক্ষকের সংখ্যা।

গত ১৩ বছরে দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে ইংরেজি ও গণিত শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যে দুই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ফলাফল দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জুনিয়র মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল-কলেজের স্কুল শাখায় ইংরেজি শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে ১৪ হাজার ৬৭৩ জন, আর গণিত শিক্ষকের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৬০৭ জন।

অন্যদিকে একই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৯ হাজার ৭০টি থেকে ২০ হাজার ৬৩১টিতে, এবং শিক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় দেড় কোটি থেকে সাড়ে আট কোটির বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইংরেজি ও গণিত শিক্ষকের সংকটই শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধারাবাহিক দুর্বলতার প্রধান কারণ। তাঁদের মতে, শিক্ষা খাতে অবহেলা, শিক্ষক নিয়োগে জটিল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, এবং কম বেতন-সুবিধা এই সংকটের পেছনের মূল কারণ।

বিশেষ করে, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে স্নাতকদের চাকরির বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় অনেকে শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ হারাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই দুই বিষয়ে দুর্বলতা কেবল পরীক্ষার ফলেই নয়, ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

নয়া দিগন্ত
ছবির ক্যাপশান,নয়া দিগন্ত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক ক্ষতি প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারণা করছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

এ ঘটনায় কার্যকর ফায়ার ডিটেকশন ও প্রটেকশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাও স্পষ্ট হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আলী বলেন, কার্গো ভিলেজ প্রধানত তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক পণ্য, কাঁচামাল, ফ্রোজেন ফুডস, ওষুধ, কৃষি ও হস্তশিল্প পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য ব্যবহার হয়।

আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোও গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও পার্সেল আদান-প্রদানে এই স্থানে নির্ভরশীল।

তিনি আরও বলেন, হিমায়িত ও পচনশীল পণ্য সময়মতো বিদেশে না পৌঁছালে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড বা নিরাপত্তা ঝুঁকি রপ্তানি খাতের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
ছবির ক্যাপশান,দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার আজকের খবর - Airport fire safety management under question, অর্থাৎ আগুন লাগার ঘটনায় বিমানবন্দরের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন।

যুক্তরাজ্যের বিমান নিরাপত্তা মূল্যায়নে শীর্ষ ফলাফল অর্জনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) কার্গো ভিলেজে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) কে নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, যা বিমানবন্দরের একমাত্র কার্গো হ্যান্ডলার, ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ভিত্তিতে এইচএসআইএ'র ফায়ার সেফটি ব্যবস্থার কার্যকারিতা যাচাই করতে তার ফ্লাইট সেফটি প্রধানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তদন্তে দেখা হচ্ছে, ফায়ার ডিটেকশন ও স্প্রিংকলার সিস্টেম সচল ছিল কি না, কার্গো অঞ্চলে ফায়ার হাইড্রান্ট পয়েন্ট ছিল কি না এবং ফায়ারফাইটিং যানবাহনের সক্ষমতা যথেষ্ট ছিল কি না।

যদিও সিএএবি দাবি করছে, বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (ICAO) এর মান অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে, তবুও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কার্গো এলাকায় কার্যকর কোনো অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা ছিল না।

মানবজমিন
ছবির ক্যাপশান,মানবজমিন

মানবজমিন পত্রিকার আজকের প্রধান খবর - জবি ছাত্রদল নেতা খুন- প্রেমের বলি নাকি রাজনীতি।

পুরান ঢাকার আরমানিটোলা নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, ভবনের তিনতলার সিঁড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনায় একজন নারীসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জোবায়েদ দুই জনের প্রেমের বিবাদে বা রাজনৈতিক কারণে খুন হতে পারেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জোবায়েদ একটি শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন, যার সঙ্গে অন্য একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই ছেলের সঙ্গে মেয়েটির দ্বন্দ্ব তৈরি হলে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে জোবায়েদের সহপাঠী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও হত্যার সম্ভাবনা তদন্তের অংশ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন।

রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোবায়েদ ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বর্ষাকে টিউশন পড়াতে গিয়েছিলেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে তার বন্ধুদের কাছে খবর আসে, জোবায়েদ মারা গেছেন। রৌশান ভিলায় প্রবেশের পর দেখা যায়, তিন তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে এবং সিঁড়িতে তার দেহ পড়ে আছে।

ভবনের দুই তলা ও তিনতলার দরজায় রক্তের দাগ স্পষ্ট। পুলিশ জানিয়েছে, জোবায়েদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত হন, আর শত শত শিক্ষার্থী এলাকাটি ঘিরে স্লোগান দেন।

দ্য ডেইলি স্টার
ছবির ক্যাপশান,দ্য ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার খবর- 66 die from injuries on roads every day, দেশে প্রতিদিন অন্তত ৬৬ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে।

যা সব বয়সী মানুষের মধ্যে আঘাতজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ তথ্য সরকার-এর একটি সাম্প্রতিক জরিপে প্রকাশ করা হয়েছে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, প্রতি বছর ৩০ লাখের বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় অঘাতপ্রাপ্ত হন এবং ৩৮,০২৮ জন স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে যান। এসব তথ্য সমস্যার তীব্রতা ফুটিয়ে তোলে এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে।

জরিপ অনুযায়ী, প্রতিবছরের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৪,২৩৩ জন, যা সরকারি হিসেবে প্রায় ৫,৫০০ জনের চার গুণ। তবে এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমানের ৩১,০০০-এর চেয়ে কম।

মে ২০২৩ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত চলা এই জাতীয় ক্রস-সেকশনাল জরিপে ৪.৪৩ লাখ অংশগ্রহণকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল উদঘাটন করা হয়েছে।