Image description

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় আবু বকর নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা খুনিদের তিন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা পরিস্থিতি ও আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কয়েক দিন আগে একটি দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় বীর কাশিমনগর এফ. ইউ. উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. হাসিনা বেগমকে মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে একসঙ্গে দেখতে যায় ওই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে ওই গ্রামের রবি মিয়ার ছেলে বাবুল ও আলমের ছেলে রিসাদসহ কয়েকজন।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের শিক্ষক হাসিনা বেগমকে জানালে তিনি আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে জানান। আনিছা বেগম বিষয়টি নিয়ে রিসাদের পিতা আলমের কাছে বিচার দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আলমের ছেলে রিসাদ, সালামের ছেলে পারভেজ ও রবি মিয়ার ছেলে বাবুল আরও কজনকে নিয়ে আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালগাল করে তাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় এদের গালাগালের শব্দ পেয়ে আনিছার স্বামী আবু বকর আনিছার খোঁজ এবং গালাগালের কারণ জিজ্ঞেস করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আবু বকরকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এতে আবু বকর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। জ্ঞানহারা অবস্থায় আবু বরকে তার বাড়ির আঙিনায় ফেলে চলে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা আবু বকরকে উদ্ধার করে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানা ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আবু বকরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।