
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, সাইবার অপরাধ, অস্ত্র-বিস্ফোরক, চোরাচালান, জালিয়াতি ও নারী নির্যাতনসহ সন্দেহজনক কার্যক্রম সম্পর্কে সরাসরি পুলিশকে জানাতে ‘হ্যালো সিটি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। যা কয়েক বছর ঘুরতেই মুখ থুমকে পড়েছে। এখন অ্যাপটি ব্যবহার করা গেলেও থমকে গেছে কার্যক্রম। অন্যদিকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গণপরিবহনে নারীদের সহায়তায় ‘হেল্প’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হলেও সেটি এখনও পাইলট প্রজেক্টেই রয়েছে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুলিশি সহায়তা পেলে ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপ ছাড়া পুলিশের নিজস্ব কোনও মোবাইল অ্যাপ নেই। তবে নারী নির্যাতন ও সাইবার বিষয়ক সহায়তা পেতে পুলিশের হটলাইন নম্বর রয়েছে। এসব নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কোনও ভূমিকা নেই পুলিশের। তবে পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া তথ্য রয়েছে।
‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপ
‘হ্যালো সিটি (Hello CT)’ অ্যাপটি হলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি মোবাইল অ্যাপ, যা নাগরিকদের কাছে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, সাইবার অপরাধ, অস্ত্র-বিস্ফোরক, চোরাচালান ও জালিয়াতিসহ সন্দেহজনক কার্যক্রম সম্পর্কে সরাসরি পুলিশকে জানাতে তৈরি করা হয়েছিল। ব্যবহারকারীরা অ্যাপ থেকে লেখা বার্তা, ছবি, ভিডিও বা অডিও ফাইল আপলোড করে তথ্য পাঠাতে পারবেন। প্রাপ্ত তথ্য ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সিটি বিভাগ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল।
অ্যাপটির একটি মূল সুবিধা হলো তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা সংক্রান্ত বিধান; ফলে নাগরিকরা নিরাপদভাবে সন্দেহজনক ঘটনা রিপোর্ট করতে পারেন। ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপটি ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই উদ্বোধন করা হয় এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিহত করে দ্রুত তথ্যভিত্তিক অভিযানে সহায়তা করা।
২০১৬ সালে যখন এই অ্যাপটি চালু করা হয়, সেই সময়ে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। প্রথম এক মাসেই দুই হাজার ৭৩৭টি অভিযোগ জমা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই অ্যাপটি বর্তমানে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যদিও কবে থেকে বন্ধ রয়েছে এবং এই পর্যন্ত অ্যাপটিতে কতগুলো অভিযোগ জমা পড়েছে, সে ব্যাপারেও কোনও তথ্য জানাতে পারেনি ডিএমপি।
জানতে চাইলে ডিএমপির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হ্যালো সিটি অ্যাপটির কার্যক্রম আপাতত বন্ধ আছে। ফলে এই অ্যাপের কোনও রিপোর্ট গ্রহণ বা আমলে নেওয়া হচ্ছে না।’
তবে এই অ্যাপটি কবে থেকে বন্ধ আছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
‘হেল্প অ্যাপ’
‘হেল্প অ্যাপ’ (হ্যারাসমেন্ট অ্যালিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম) হলো ঢাকার গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চালু করা একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে নারীরা চলন্ত বা স্থির যেকোনো গণপরিবহনে হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করতে পারেন। অ্যাপে করা অভিযোগগুলোকে প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য করা হয় এবং প্রয়োজনে সেই ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো নারীদের জন্য গণপরিবহনকে নিরাপদ করা এবং হয়রানির ঘটনার দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করা।
অ্যাপটি এ বছরের ১৫ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু করে, যা যৌথভাবে তৈরি করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি পাঁচ শতাধিক মোবাইলে ইন্সটল করা হয়েছে। বর্তমানে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বছিলা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত রুটে কার্যকর রয়েছে। ‘হেল্প’ অ্যাপের মাধ্যমে কোনও নারী হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ করলে নিকটস্থ থানায় তা পাঠানো হয় এবং প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই অ্যাপের মাধ্যমে শুধু অভিযোগ গ্রহণই নয়, ভুক্তভোগীদের মানসিক সহায়তা ও কাউন্সেলিং সেবাও দেওয়া হচ্ছে।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) সূত্রে জানা গেছে, হেল্প অ্যাপ চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক অভিযোগই প্রকল্প এলাকার বাইরে থেকে এসেছে। এছাড়া ফোন কলও আসে নিয়মিত, যার মধ্যে অনেক ‘ফেক কল’ বা প্রকল্প এলাকার বাইরের কল থাকে।
সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ বা তাৎক্ষণিক ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে নিকটস্থ থানায় অবহিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ছাড়া মানসিক আঘাত বা ট্রমায় ভোগা কয়েকজন নারীকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিজেসি আরও জানায়, নারীদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন স্থানে অ্যাডভোকেসি মিটিং আয়োজন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১২টি অ্যাডভোকেসি মিটিংয়ে প্রায় আড়াই থেকে তিন শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে তারা আত্মরক্ষা, আইনগত সহায়তা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পেয়েছেন।
বিজেসি কো-অর্ডিনেটর ও হেল্প অ্যাপের নিয়ন্ত্রক আদনান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখনও পাইলট প্রজেক্ট পর্যায়ে কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে বছিলা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে নারীরা যদি কোনও ধরনের হয়রানির শিকার হন, তাহলে তাদের অভিযোগ আমরা গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এই উদ্যোগটি ৯টি থানা এলাকায় কার্যকর রয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়। আমাদের লক্ষ্য হলো পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা এই অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসা।’
আদনান চৌধুরী আরও বলেন, ‘অ্যাপটির উন্নয়ন ও প্রচারের জন্য আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ, রেডিও প্রোগ্রাম এবং গণপরিবহনে পোস্টার টানানোর মাধ্যমে অ্যাপটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।’
ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন
উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারহানা ইয়াসমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডিএমপিতে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, নিপীড়ন ও সাইবার হ্যারেজমেন্টে যেসব মামলা হয়, তার একাংশ আমরা তদন্ত করি। তবে সাইবার বিষয়ক মামলাগুলো বেশি ডিবি সাইবার ইউনিটে যায়। আমাদের কাছে নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলা বেশি আসে।’
উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যা ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় মোট ২৫৫টি মামলার তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে এই ইউনিটকে। এর মধ্যে ধর্ষণ ১২৬টি, অপহরণ ৪৮টি, শ্লীলতাহানি ২৯টি এবং যৌন হয়রানির মামলা ৫২টি। একই সময়ে ১১৫টি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং ৫৩ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
পুলিশের যত হটলাইন
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ বাংলাদেশের সরকারের একটি কেন্দ্রীয় কল সেবা, যা ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এটি বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে পরিচালিত হয় এবং দেশের যেকোনও স্থান থেকে ফ্রি কলের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নাগরিকদের জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়। ‘একটি নম্বর, সর্বজনীন সেবা’—এই ধারণা থেকেই ৯৯৯ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, যাতে মানুষ আলাদা আলাদা হেল্পলাইন খুঁজে না নিয়ে একটি নম্বরেই সব ধরনের জরুরি সেবা পেতে পারে।
এই সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং অ্যাম্বুলেন্স—এই তিনটি মৌলিক জরুরি সেবা একসঙ্গে পেয়ে থাকেন। নাগরিকরা দুর্ঘটনা, অপরাধ, অগ্নিকাণ্ড, নিখোঁজ, বা অসুস্থতার মতো পরিস্থিতিতে পড়লে ৯৯৯ নম্বরে কল করে তাৎক্ষণিক সাহায্য চাইতে পারেন। কল সেন্টারে প্রশিক্ষিত অপারেটররা দ্রুত কলার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে নিকটস্থ থানায়, ফায়ার স্টেশনে বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠান।
এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতন, সাইবার অপরাধ কিংবা রাস্তার বিপদে পড়া মানুষদেরও দ্রুত উদ্ধার বা সহায়তা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত হাজারো মানুষ এই সেবার মাধ্যমে জীবনের সংকটময় মুহূর্তে সহায়তা পেয়েছেন। ৯৯৯ আজ শুধু একটি জরুরি নম্বর নয় বরং এটি নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম, যা দ্রুত সাড়া, স্বচ্ছতা ও জনআস্থার প্রতীক হিসেবে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ৯৯৯ চালুর পর থেকে (১২ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত) দেশে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৮১২টি ফোনকল এসেছে। এর মধ্যে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭০টি কল (৪৩.৯২) সেবা প্রদানযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং বাকি ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ৪৪২টি কল (৫৬.০৮) বিভিন্ন কারণে এসেছে। কলগুলোর মধ্যে পুরুষ কলারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৮টি। শিশুদের কাছ থেকে এসেছে ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭১টি কল এবং নারীদের কাছ থেকে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯টি কল। এছাড়া ২৮ লাখ ২৪ হাজার ০২৯টি কল ছিল ‘ব্ল্যাংক কল’ বা ভুল কল এবং প্রায় ২৬ লাখ কল ছিল ‘ক্র্যাঙ্ক কল’ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিরক্তিকর কল।
আরও জানা যায়, সেবাপ্রাপ্ত কলগুলোর মধ্যে পুলিশি সহায়তার আবেদন ছিল সবচেয়ে বেশি। মোট ২২ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৩টি জরুরি কলের মধ্যে পুলিশি সেবা চাওয়া হয়েছে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫১২ বার, যা মোট জরুরি কলের ৮৩.৪৪ শতাংশ। এরপর ফায়ার সার্ভিসের জন্য ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২২টি কল (৭.৮৬%) এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯০৯টি কল (৮.৭০%) এসেছে। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে ৯৯৯ সেবা দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তাৎক্ষণিক পুলিশি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি এখন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
পুলিশ সদর দফতরের হটলাইন
বাংলাদেশ পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ নামে একটি হটলাইন ইউনিট চালু করে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা ‘০১৩২০০০০৮৮৮’ এই হটলাইন নম্বরে ফোন করে সাইবার হয়রানির শিকার নারীদের আইনগত ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও ফেসবুকেও অভিযোগ নিতে facebook.com/pcsw.phq নামে একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সেল
চলতি বছরের ১০ মার্চ থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সেল নামে আরও কয়েকটি হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়। সেখানে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, কটূক্তি, ইভটিজিং, হেনস্থা, যৌন হয়রানি বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হটলাইন সেবা চালু করেছে। দেশের যেকোনও স্থানে এরূপ ঘটনা ঘটলে এ হটলাইন নম্বরে অভিযোগ দেওয়া যাবে।
হটলাইন নম্বরসমূহ হলো: ০১৩২০০০২০০১, ০১৩২০০০২০০২, ০১৩২০০০২২২২ এই হটলাইন নাম্বারগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
পুলিশ সদর দফতরে এআইজি (মিডিয়া) এএইচএম শাহাদাত হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল ও সাইবার ক্রাইম বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দুইটি হটলাইন বিভাগ চালু করা হয়েছে। এই নাম্বারগুলো ২৪ ঘণ্টায় খোলা থাকে। এই নাম্বারে কোনও ভুক্তভোগী ফোন কল করলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ফোনটি রিসিভ করে তাদের আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। থানায় জিডি বা মামলার অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ সদর দফতর থেকে তা মনিটরিং করা হয়ে থাকে। মূল নারী ও শিশুদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই হটলাইনগুলো চালু করা হয়েছে।’