Image description

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই বদলায়। হালফিলে সেই পরিবর্তনের হাওয়া যেন আরও দ্রুতগামী। বিশেষত প্রযুক্তির জগতে। মাত্র কয়েক বছর আগেও স্কাইপ ছিল ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে একেবারে প্রথম সারিতেই। এবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেটি। মাইক্রোসফট জানিয়েছিল ফেব্রুয়ারিতেই। অবশেষে সোমবার থেকেই অনন্তের আঁধারে হারাবে স্কাইপ। থেকে যাবে বাইশ বছরের ইতিহাস।

নতুন সহস্রাব্দের প্রথম দশকে স্কাইপ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তখন ভিডিও কলিং মঞ্চ মানেই স্কাইপ। সেই সময় মাইক্রোসফটের দাবি ছিল প্রতিদিন ৩ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করেন স্কাইপ। কিন্তু বহুদিনই হল স্কাইপের ‘দিন গিয়াছে’। ফলে এই ‘মৃত্যু’ ছিল স্বাভাবিকই। বাকি ছিল কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রথমবার লঞ্চ হয়েছিল স্কাইপ। তারপর খুব দ্রুতই তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১১ সালে এর মালিকানা চলে যায় মাইক্রোসফটের হাতে। এরপর থেকে টেক জায়ান্ট সংস্থাটি বেশ কয়েকবার স্কাইপের ডিজাইন বদলেছে। গত কয়েক বছরে মাইক্রোসফট পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিল স্কাইপকে নিয়ে। স্কাইপ ক্লিপসের মতো নতুন ফিচার এনেছিল। পাশাপাশি ক্যাপিলট এআইও আত্মপ্রকাশ করে স্কাইপের জনপ্রিয়তার পারদকে ঊর্ধ্বমুখী করতে। কিন্তু কোথায় কী! টিমসের পাশে ক্রমেই টিমটিমে হয়ে গিয়েছে স্কাইপ।

আসলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের ভিডিও কলিংয়ের আগমনের পরে যোগাযোগের প্রযুক্তিতে নতুন বিপ্লব আসে। এরপর থেকেই আরও বেশি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে স্কাইপ। কত অফিস মিটিং কিংবা বন্ধুদের আড্ডা অথবা দুই হৃদয়ের প্রযুক্তির আকাশে কাছাকাছি আসার মঞ্চ- স্কাইপ রেখে গেল বহু স্মৃতি। প্রযুক্তির ‘বুম’ হওয়ার সেই সময়টার জলছাপ নিজের শরীরে নিয়ে বিদায় নিচ্ছে স্কাইপ।

কিন্তু এখনও যারা ব্যবহার করতেন স্কাইপ, তাদের কী হবে? মাইক্রোসফট জানিয়ে দিয়েছে তাদের কোনও সমস্যা হবে না। অনায়াসেই সমস্ত চ্যাট ও কনট্যাক্ট ট্রান্সফার করে দিতে পারবেন টিমস প্ল্যাটফর্মে। এবং সেজন্য বেশ কয়েক মাস সময়ও দেয়া হয়েছিল।