Image description

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি অঙ্কনের সময় ছাত্রদল পরিচয় দেওয়া এক শিক্ষার্থীর বাধার মুখে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন কর্মসূচিতে এই ঘটনা ঘটে।

আয়োজকদের অভিযোগ, কৃষি অনুষদের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফিরোজ নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে তাদের ক্যালিগ্রাফি বন্ধ করতে বলেন।

আয়োজকেরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দাওয়াহ সার্কেল’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই ক্যালিগ্রাফি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  সুরা আলে ইমরানের ১৮৫ নম্বর আয়াত—‘কুল্লু নাফসিন জাঈকাতুল মাওত’ তথা ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে’—এই আয়াতটি আরবি ও বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাচীরে অঙ্কন করা হচ্ছিল।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি নিছক ধর্মীয় ও সৃজনশীল চর্চার অংশ হলেও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী এতে বাধা প্রদান করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করে এবং ক্যালিগ্রাফি সাময়িক স্থগিত রাখার পরামর্শ দেয়। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরে প্রশাসন জানায়, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।

অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অবাক এবং আতঙ্কিত। ধর্মীয় অনুভূতির মতো সংবেদনশীল একটি বিষয়ে এমন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কখনোই কাম্য নয়, বিশেষ করে জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে যখন দেশের শিক্ষাঙ্গনে গণতন্ত্র ও স্বাধীন মত প্রকাশের আবহ তৈরি হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, এই ক্যালিগ্রাফির বিষয়ে আমাদের পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের লেখা বা চিত্রাঙ্কন গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। ছাত্রদলসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠন এই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।