Image description

রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনে ফেসবুক সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তবে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মই এখন ভুয়া তথ্য ছড়ানোর আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশে ফেসবুকে মোট ৭৪৮টি ভুয়া তথ্যের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে আটটির বেশি ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফেসবুকের পর ভুল তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এক্স (সাবেক টুইটার), যেখানে ১৬২টি ভুয়া তথ্য শনাক্ত হয়েছে। ইউটিউবে ১২৪টি এবং টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে সমানভাবে ৬৭টি করে ভুয়া তথ্যের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই নয়, দেশের কিছু গণমাধ্যমও ভুল তথ্য প্রচারের দায় এড়াতে পারেনি। গত তিন মাসে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে অন্তত ৪২টি ভুল তথ্য, ছবি বা ভিডিও প্রচারিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া, প্রতিবেশী ভারতীয় গণমাধ্যমেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অন্তত ২০টি ঘটনার মধ্যে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে অপতথ্য ছড়ানোর প্রমাণ মিলেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত ও ব্যাপক তথ্যপ্রবাহের এই যুগে ভুয়া তথ্যের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।