Image description

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন বাসের সুপারভাইজার ও লাইনম্যান হিসেবে কাজ করছেন বলে দাবি করেছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) "পরিবহনে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী মাফিয়া, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, জুলাই-আগস্টের ছাত্র হত্যাকারী, অস্ত্র ও অর্থ যোগানদাতা, বিভিন্ন হত্যার আসামি" শিরোনামে একটি মানববন্ধন করেন তাঁরা।

পরিবহণ শ্রমিকদের একজন বলেন, "আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি পঙ্কজ দেবনাথ ২৮ অক্টোবর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ছাত্রজনতার উপর যে অত্যাচার চালিয়েছেন, সেই নেতা এখন প্রজাপতি, পরিস্থান কোম্পানিতে লাইনম্যান ও সুপারভাইজার নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা চাই, বিশেষ করে প্রজাপতি পরিবহন, বসুমতি পরিবহন এবং পরিস্থান পরিবহন অতি দ্রুত রাস্তায় বন্ধ হোক। এরা নীরবে চাঁদাবাজি করছে এবং আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাচ্ছে।"

তিনি আরও বলেন, "মিরপুর ১২ নম্বর থেকে প্রজাপতি পরিবহন, পরিস্থান পরিবহন, বসুমতি পরিবহন, সেক্টর পরিবহন এবং এনা পরিবহন–এইসব কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ এখন আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে। সাবেক এমপি পঙ্কজ দেবনাথের নেতৃত্বে এই অঘটন ঘটছে।"

তিনি বলেন, "ঘুম থেকে উঠে পরিবহনে আসার পর আমাদেরকে ২০০, ৩০০ বা ৪০০ টাকা দেওয়া হয়। পরে আবার তারা এসে প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা করে নিয়ে যায়। এটা নীরব চাঁদাবাজি এবং এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন পঙ্কজ দেবনাথ।"

আরও একজন শ্রমিক বলেন, "কোম্পানির নামে যেই চাঁদাবাজি হয়, সেটা মালিক সমিতির মাধ্যমে ওঠানো হয়। বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় হচ্ছে। সন্ধ্যার সময় প্রত্যেকটি বাসের ড্রাইভার ও মালিককে ৫০০ টাকা, কিছু গাড়ির ক্ষেত্রে ৮০০ টাকাও দিতে হয়। প্রজাপতি পরিবহন ও পরিস্থান পরিবহনের প্রতিটি গাড়ি থেকে ৮০০–৯০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। যদি ১৫০টি গাড়ি প্রতিদিন চাঁদা দেয়, তাহলে প্রতিদিন কত টাকা জমা হয়, ভাবুন! অথচ রাতের বেলায় এই গাড়িগুলো রাস্তা জ্যাম করে রাখে, কিন্তু একটা গ্যারেজও তৈরি করতে পারে না।"

সূত্রঃ https://www.facebook.com/watch/?v=723351970028428&rdid=XikPdDCdPUxwmPHB