
নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত ৬৫টি নতুন দল আবেদন করেছে। আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আরো দুই ডজন দল। চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারের অফিসও এখন দলের ঠিকানা। আওয়ামী লীগের পরিচয় মুছতেও নতুন দল গঠন করা হচ্ছে। তবে নামসর্বস্ব এসব দলের সঙ্গে সম্ভাবনাময় কিছু দলও আত্মপ্রকাশ করছে।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দলগুলোর তালিকার ৩ নম্বর দলটি হচ্ছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান ৪২ বছর বয়সী মো. শিফন ভুঁইয়া ১৫ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বর্তমানে কোতোয়ালি থানার ১৬ নম্বর রামাকান্ত নন্দী লেনে একটি চশমার দোকান আছে।এই দোকানটিকেই তিনি তাঁর দলের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। দলটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক রুমের এই ভাড়া করা দোকানে এখনো চশমাসহ অন্যান্য মালপত্র আছে। নিবন্ধন পেলে ওইসব মাল সরিয়ে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে দলের অফিস করা হবে। খুলনায়ও দলের অফিস করার পরিকল্পনা আছে। দলের উদ্দেশ্য মানুষের খেদমত করা। দেড় মাস আগে দলের ছোট একটা মিটিং হয়েছে। নিবন্ধন ও পরিবেশ পেলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ আসনে প্রার্থী হতে চাই। সেখানেই বাড়ি আমার। নিবন্ধন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হব।
তালিকার ২০ নম্বর দলটির নাম বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ)। দলের সাধারণ সম্পাদক ৪৪ বছর বয়সী এইচ এম রেজাউল করিম খোকন জানালেন, তিনি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ১ নম্বর সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যুক্ত ছিলেন ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগের সঙ্গেও। একসময় নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে ওই দলের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। দলের অফিসের ঠিকানা দিয়েছেন ৮৫ নয়াপল্টন, চতুর্থ তলা, মসজিদ গলি, ঢাকা। বললেন, ‘এটি একজন ঠিকাদারের অফিস। ওই ঠিকাদারের অনুমতি নিয়েই আমার দলের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করছি।’ আর কোথাও দলের কার্যালয় আছে কি না—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পিরোজপুর ও কাউখালীতে অফিস করার কথা ভাবছি। কিন্তু এখনো তেমন সহযোগিতা পাইনি। উইদাউট বেনিফিটে কেউ রাজি হয় না।’
রেজাউল করিম খোকন আরো জানান, তিনি নিজেও ঠিকেদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সাবকন্ট্রাক্টে ছোটখাটো কাজ করেন। দলের নিবন্ধন না পেলে এবং দল করে এমপি হতে না পারলেও নিজের গড়া দলের পরিচয়েই দাঁড়াতে চান তিনি।
তালিকার ৩৪ নম্বরে আছে জনতা মহাজোট বাংলাদেশ নামের একটি দল। নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, দলটির প্রধান অফিস কদমতলীর পূর্ব জুরাইনের চেয়ারম্যানবাড়ির কলেজ রোডে। তবে এটি আসলে একটি হাফেজি মাদরাসার ঠিকানা। এই মাদরাসারই একটি রুম রাজনৈতিক দলের অফিস হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন জনতা মহাজোট বাংলাদেশের সভাপতি আলহাজ মাওলানা এ কে এম নুরুল ইসলাম। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘এটা আপাতত অস্থায়ীভাবে নিয়েছি। এখানে কয়েকটা রুম নিয়ে হাফেজি মাদরাসা করা হয়েছে। মাদরাসা যারা চালায় তারাই রুমটি দিয়েছে। ওরা বলেছে, আমি যদি সাংগঠনিকভাবে এগোতে পারি তাহলে রুমটি দলের অফিস হিসেবে স্থায়ী করে দেওয়া হবে।’
একই অবস্থা তালিকার ৫৯ নম্বরে থাকা অহিংস গণ-আন্দোলন নামের আরেকটি রাজনৈতিক দলের। একটি আইটি সরঞ্জাম রাখার রুমকে এখন রাজনৈতিক কার্যালয় বানিয়ে দল চালাচ্ছেন দলটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘এটা বাণিজ্যিক ভবন। সেই ভবনের পাঁচতলার একটি রুম ভাড়া নিয়েছি। এই রুমে আইটির বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখা হতো। এখন ওরা ছেড়ে দিচ্ছে, তাই আমরা ভাড়া নিয়েছি।’
রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে বৈষম্য দূর করার জন্য নানাভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করে এসেছি। কিন্তু সেটি হয়নি বলে আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক দল করার জন্য একমত হয়েছি। আমাদের ফ্যার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের রিপ্রেজেন্টেটিভরাই এই দলের সদস্য। তাদের মাধ্যমে দলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তালিকার ১২ নম্বরের দল বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস) নামের দলটির সভাপতি মো. হাসান বললেন, ‘ধানমণ্ডির ক্রিসেন্ট রোডে আমার দলের অফিস। স্ত্রীর বাসায়ই অফিস চালাচ্ছি। নিউমার্কেটে আমার কয়েকটি দোকান আছে। আমি কাজ করতে চাই দেশের বেকারদের নিয়ে। ২০০৮ সালেই দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলাম। নিবন্ধন পাইনি।’
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে দল নিবন্ধন শুরু হলে ওই বছরের শেষ দিকে ১০৭টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ৬৮টি দল প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়। ফ্রিডম পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার পরও বাতিল করা হয়। ওই সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতি সমিতিকে আঞ্চলিক দল এবং দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ওই সময় ১০৭টি দল ছাড়াও আরো অনেক দল আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু নিবন্ধনের শর্তপূরণ ব্যয়বহুল বিবেচনায় পিছিয়ে যায়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে দল নিবন্ধনের অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল নামসর্বস্ব দলগুলোকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। কিন্তু প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগে শত পূরণে সক্ষম নয় এমন দলগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে হিমশিম খেতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। নামসর্বস্ব কিছু দলের নিবন্ধন পাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এসব দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যও স্পষ্ট নয়। তবে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। নামসর্বস্ব দলের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় কিছু দলেরও আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি) এবং ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যদের নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। আর সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে জনতা পার্টি বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে আট মাসে ২৪টি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্যমান দলগুলোর প্রতি অনাস্থা ও গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন পরিস্থিতির সুযোগ নিতেও গঠিত হচ্ছে নতুন নতুন দল।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদা রওনক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রথমত বাংলাদেশে প্রধান দুটি দল ছিল। সেই ধরনের একটা প্রচলিত চিন্তা থেকে মানুষজন বের হচ্ছে। আমরাও শক্তিমান, আমরা অনেক কিছু করতে পারি, আমরা রাজনীতি করতে পারি—এ ধরনের একটা ধারণা মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বর্তমান প্রজন্মের যারা নেতৃত্বে যেতে যাচ্ছে, তারা আসলে কোনো একক নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখছে না। ফলে সবাই ভাবছে, আমিই তো নেতৃত্ব দিতে পারি। অর্থাৎ বড় ধরনের একক নেতৃত্বের ধারণাকে অনেকভাবে আঘাত করা হয়েছে। ফলে ছোট ছোট নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে, যার যার মতো করে ছোট ছোট দল গঠন করছে।’
কবি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট চিন্তক ফরহাদ মজহার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মানুষের একসময় কথা বলার অধিকারটা ছিল না। তারা তাদের কথাটা বলতে পারেনি। ফলে বিভিন্ন গ্রুপ তাদের কথাটা বলার চেষ্টা করছে এবং রাজনৈতিক পরিসরে তারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কতজন টিকে যাবে সেটা পরের কথা। কিন্তু আমি মনে করি, রাজনৈতিক দল গঠন করার যে ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে এবং নিজেদের কথা তারা বলতে চাইছে, এটা খুবই ভালো। অনেকগুলো রাজনৈতিক দল যখন আসছে, তার মানে বিদ্যমান দলগুলোকে তারা তাদের প্রতিনিধি মনে করে না। যদি মনে করত, তাহলে এতগুলো দল গঠন করা হতো না।’
রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের জন্য দল গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান ইসমাইল সম্রাট। এই দলটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আত্মপ্রকাশ করে।
ইসমাইল সম্রাট বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে বড় একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক মাঠ থেকে সরে গেছে, সেহেতু রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমরা সেই শূন্যতা পূরণের জন্য আমাদের দল ঘোষণা করেছি।’
ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী কার্যক্রমের জন্য দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমজনতা দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা গণ অধিকার পরিষদ ভাঙার পর থেকে পুরো সময় ধরে ভারতের আগ্রাসনবিরোধী নানা ধরনের প্রোগ্রাম করে গেছি। আমরা দেখেছি, কোনো রাজনৈতিক দলই ভারত নিয়ে এভাবে এই বিষয়গুলো নার্সিং করে না, যাদের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পারি। এই বাস্তবতায় আমাদের এই কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য আলাদা একটি দল অবশ্যই প্রয়োজন।’
ইসিতে নিবন্ধনের জন্য যে ৬৫ দলের আবেদন : নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে এ পর্যন্ত নতুন করে ৬৫টি রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে। এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রক্ষণশীল দল (বিসিপি), জনতা কংগ্রেস পার্টি, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্য দল, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, জাস্টিজ পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি (বি.জি.পি.), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ—শাজাহান সিরাজ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), জনতার কথা বলে, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ), ফরওয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, স্বাধীন জনতা পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ শান্তির দল, সংবিধান বিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ গণ-অভিযাত্রা দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, ন্যাশনাল লেবার পার্টি (এনএলপি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), জনতা মহাজোট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনতার ঐক্য, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), নিউক্লিয়াস পার্টি, ইউনাইটেড বাংলাদেশ পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সসবাদী) সিপিবি (এম), বাংলাদেশ পাক পাঞ্জাতন পার্টি (বিপিপি), সাধারণ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), ন্যাপ ভাসানী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), জাতীয় পেশাজীবী দল (এনপিপি), বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট (বি.জে.এফ.), বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি (ডিসিপি), ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশী জনগণের পার্টি, অহিংস গণ-আন্দোলন, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, জনতার বাংলাদেশ পার্টি, মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি (বিএনএলপি) ও বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি