Image description
 
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় ১৪টি ব্যাংকে মোট ২৫০ কোটি টাকা পুনঃবিনিয়োগ করে স্থানান্তর করেছে। সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এখান থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। বিসিবি এক বিবৃতিতে এই তথ্যকে ভুল বলে আখ্যায়িত করেছে। পরে এ বিষয়ে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
 
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিসিবির বিষয়টি নিয়ে আমি সভাপতি ও পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি... এফডিআর নিয়ে। আমাদের মন্ত্রণালয়েরও এফডিআর করা আছে। অনেকগুলো ১০–১৫–২০ বছর আগের। আপনারা জানেন, তখন ইন্টারেস্ট রেট ছিল কোথাও ৫ শতাংশ, কোথাও ৬-৭ শতাংশ। এটা তো একটা আয়ের উৎস, সেই আয়টা অপারেশনাল কাজগুলোতে খরচ হয়। বিসিবির এফডিআরের রেট ছিল ৭-৮ শতাংশ। আমি যতটুকু জানি, এখন যেখানে করা হয়েছে, সেখানে রেট ১১-১২ শতাংশ।’
দুর্বল ব্যাংক থেকে সরিয়ে ভালো ব্যাংকে অর্থ নতুন করে বিনিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ আরো বলেন, ‘যে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থটা ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের হলুদ সংকেত ছিল, মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক।
 
বিসিবি কিংবা আপনার নিজেও টাকাও তো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে চাইবেন না।’তিনি আরো বলেন, ‘বিসিবির অভ্যন্তরীণ যে নিয়ম, সেটা কোনোভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব। বিসিবিতে তো একজন ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আছেন, তার মতামত নেওয়া হয়েছে কি না, তার অনুমোদন আছে কি না, সেখানে কোনো ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব।’