
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সোমবার (১২ মে) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের বিরুদ্ধে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাতটি সহযোগী ও তিনটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রয়েছে। যদিও প্রজ্ঞাপনে সংগঠনগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। দলটির সহযোগী সংগঠন—
যুবলীগ; স্বেচ্ছাসেবক লীগ; মহিলা আওয়ামী লীগ; যুব মহিলা লীগ; কৃষক লীগ; আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ; তাঁতী লীগ;
ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন— বাংলাদেশ ছাত্রলীগ; জাতীয় শ্রমিক লীগ; স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।
এর আগে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার।
গত শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের চাপে সরকার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে সরকার, যাতে করে ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন মনে করলে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে।