মরুর বুকে জ্বলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেই আগুনে পুড়ছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। বাংলাদেশি পেসারের কাটার, স্লোয়ারের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না ব্যাটাররা।
আবুধাবিতে আজও জ্বলে উঠেছেন মুস্তাফিজ।
তার স্বীকৃতি হিসেবে আজ পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে প্রতিটি ম্যাচে কমপক্ষে একটি করে উইকেট নেওয়া বাঁহাতি পেসার আজ গাল্ফ জায়ান্টসের বিপক্ষে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৪ উইকেট নিয়ে সতীর্থ ওয়াকার সালামখিলের (১৫) পর আইএল টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুস্তাফিজ।
৩৪ রান খরচ করে আজ ৩ টি উইকেটই নিয়েছেন এক ওভারে।
মুস্তাফিজের করা সেই ১৪তম ওভারেই ম্যাচের চিত্রও যায় পাল্টে। দলীয় ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানো জায়ান্টসকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন জেমস ভিন্স ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়ে। ওভারটির দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে দুজনকেই বিদায় করে ক্যাপিটালসকে ম্যাচে ফেরান মুস্তাফিজ।
পঞ্চম বলে ডিকসনকে আউট করে তাদের ব্যাটিং অর্ডার গুড়িয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান বাঁহাতি পেসার। তবে সেটা পাননি।
মেরুদণ্ড আর সোজা করা হয়নি জায়ান্টসের। ইনিংসের ২০তম ওভারে প্রতিপক্ষর ইনিংস গুটিয়ে দিতেও অবদান রাখেন মুস্তাফিজ। এই ওভারেও তিন উইকেট পড়লেও প্রতিটিই অবশ্য রান আউট হয়।
তাতে ১৫৬ রানে অলআউট হয় জায়ান্টস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার ওমরজাই। আর ম্যাচসেরা মুস্তাফিজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ৩৪ রান খরচ করে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য ক্যাপিটালসের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। তবে দুটি পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই ইনিংস খেলে ৬ উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছেন শায়ান জাহাঙ্গীর ও রোভম্যান পাওয়েল। ওপেনার জাহাঙ্গীরের ৪৮ রানের বিপরীতে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন পাওয়েল। পাওয়েলের সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ নবী। ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করা দলের অধিনায়ক ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।