ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্প অস্ত্র বিক্রি করে রেকর্ড মুনাফা অর্জন করছে। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচার করছে, তাদের অস্ত্র ‘যুদ্ধে পরীক্ষিত’। একই সঙ্গে ক্রেতাদের কাছে অস্ত্র ব্যবহারের সফলতার প্রমাণ হিসেবে গাজার কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
২০২৪ সালে ইসরায়েল প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। ইসরায়েলি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইউরোপ, এরপরের অবস্থানে ভারত।
ফিলিস্তিনে গণহত্যা সংক্রান্ত বিচার প্রক্রিয়া চলমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু এরপরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নজিরবিহীন মাত্রায় তেল আবিবের কাছে থেকে অস্ত্র কিনছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক নূর ওদেহ বলেন, গাজায় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অসংখ্য হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র কেনাবেচা না করতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এরপরও তা বন্ধ হয়নি। যতদিন মুনাফা বাড়তে থাকবে, মনে হচ্ছে ততদিন আধুনিক যুদ্ধের ‘মানব পরীক্ষাগার’ হয়ে থাকতে হবে ফিলিস্তিনিদের।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) চলতি বছরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অস্ত্র ও সামরিক সেবা বিক্রি করে রেকর্ড আয় করে- ৬৭৯ বিলিয়ন ডলার।
শীর্ষ ১০০ অস্ত্র কোম্পানির মধ্যে প্রথমবারের মতো স্থান করে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ৯টি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালে এসব কোম্পানির সম্মিলিত আয় ছিল ৩১ বিলিয়ন ডলার। এসআইপিআরআই এর তালিকায় আছে তিনটি ইসরায়েলি কোম্পানি। তাদের সম্মিলিত আয় ১৬.২ বিলিয়ন ডলার।
ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক আয় করেছে এলবিট সিস্টেমস- ৬.২৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আছে অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (৫.১৯ বিলিয়ন ডলার)। তৃতীয় স্থানে থাকা রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমসের আয় ৪.৭ বিলিয়ন ডলার।