ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ফেনী জেলার প্রায় ৯ হাজার প্রবাসী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে তারা নিবন্ধন করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট থেকে এই তথ্য জানা গেছে। যা প্রবাসে অবস্থানরত ফেনীবাসীর তুলনায় ২ দশমিক ২৭শতাংশ মাত্র।
এতে বলা হয়েছে, ফেনী জেলার ২০ হাজার ৪শ ৯১ জন প্রবাসী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ১৯ হাজার ৭শ ৭৮ ও মহিলা ৭শ ১৩ জন। অনুমোদন হয়েছে ৮ হাজার ৭শ ৫৫জন। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন ১১ হাজার ৭শ ৩৬ জন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এবারই প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
এক্ষেত্রে প্রবাসী, আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতরা এ ব্যবস্থায় ভোট দিতে পারবেন। এজন্য অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, যা চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অ্যাপে নিবন্ধনকারীদের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভোটার ভোট দিয়ে ফিরতি খামে তা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, থিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ইত্যাদি দেশ থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন।
জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক দিদার মিঞা জানান, ফেনী জেলায় ২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩৭ জন প্রবাসে গিয়েছেন। এর মধ্যে চলতিবছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৫ জন প্রবাসে যান।
প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া ও প্রচারাভিযান সম্পর্কে জানতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মনিরা হক জানান, সরকার থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ম্যাসেজ দেয়া হচ্ছে। ‘আমরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছি’। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।