Image description

লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেনের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনার প্রকৃত রহস্য এখনও ভেদ করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় মামলাও হয়নি। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বেলালের বড় মেয়ে সালমা আক্তারের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার সন্ধ্যায় এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

সদর পূর্ব স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ সরদার বলেন, ‘এটি  দুর্ঘটনা নয়, একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। আমরা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শিপন বলেন, ‘দুই পাশ থেকে তালা ঝুলিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। পুরো পরিবারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল।’

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হোসাইন রায়হান কাজেমী বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আজ সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে টাকা, কম্বল ও শুকনো খাবার তুলে দেন।

শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে বেলাল হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বেলালের ঘুমন্ত শিশুকন্যা আয়েশা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর দগ্ধ দুই মেয়ে সালমা আক্তার ও সামিয়া আক্তার বিথীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।