
হোপকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে লড়াইয়ে ফিরছিলেন জাস্টিন গ্রিভস। দুজন মিলে গড়েছিলেন ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তবে সেই জুটিতে ছেদ টানেন মেহেদী মিরাজ, দুর্দান্ত এক সরাসরি থ্রোয়ে ভাঙেন স্ট্যাম্প। গ্রিভসকে থামতে হলো ২৬ রানে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৬ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ১৮০ রান।
এর আগে, ইনিংসের তৃতীয় বলেই প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ, এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। নাসুমের অফস্টাম্পের ফুল লেংথ ডেলিভারিটি ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি কিং। বল সোজা গিয়েই আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ারও সাড়া দেন। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি।
এরপর হাল ধরেছিলেন ক্যাসি কার্টি ও আলিক অ্যাথানেজ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে কিছুটা স্বস্তি ফেরাচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান শিবিরে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢালেন রিশাদ।
বোলিংয়ে এসেই বাজিমাত। ম্যাচে নিজের করা দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ করে ফেরান অ্যাথানেজকে। ব্যাটে ছোঁয়া লাগার আগেই প্যাডে আঘাত হানে বল। অ্যাথানেজ অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানেও সাফল্য মেলেনি।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়ছিলেন কার্টি। রানের চাকা সচল রাখতে গিয়ে এবার চেষ্টা করেছিলেন রিভার্স সুইপের। তবে সেটা আর কাজে আসেনি, বল ঘুরে এসে আঘাত হানে প্যাডে, আর আম্পায়ারের তর্জনি উঠে যায় নিঃসংকোচে। এতে ৩৫ রান করে থামেন কার্টি।
ক্রিজে জমে ওঠার আগেই ফিরতে হয় শেরফান রাদারফোর্ডকে। তানভীরের ঢুকে আসা বলটি সোজা গিয়ে আঘাত করে তার প্যাডে। তানভীরের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ারও সাড়া দেন। রাদারফোর্ড আউট হন মাত্র ৭ রান করেই।
নিজের অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই গুড়াকেশ মোতিকে ফেরান রিশাদ। বড় শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে ১৫ রানে ফেরেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। রিশাদের পর আঘাত হানেন আরেক স্পিনার নাসুম। ফেরান রোস্টন চেজকে, ম্যাচে এটি তাঁর দ্বিতীয় উইকেট।