
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির একটি কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্য প্রবাসী রেজাউল করিমের অনুসারীরা সোমবার রাতে পালশা মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মহফিলের আয়োজন করেন বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান। কিন্তু এই দোয়া মাহফিলে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের দাওয়াত দেওয়া হলেও তারা কেউ যাননি। এমনকি তারা দোয়া মাহফিলের সময় বিএনপি কার্যালয়ে বসেছিলেন। এই ক্ষোভে প্রবাসী রেজাউল করিমের অনুসারীরা দোয়া মাহফিল শেষে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেন।
এদিকে দুর্গাপুরের নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহিদুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রবাসী রেজাউল করিমের বাবা আজগর আলী বিগত সরকার আমলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আগে বিএনপি করতেন। তবে এখন আর দলে সক্রিয় নন। সোমবারের দোয়া মাহফিলের জন্য স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতা চাইলেও অনেকে রাজি হননি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সভা শেষে অফিসে হামলা চালানো হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা দোয়া মাহফিল শেষে জিনিসপত্র গুটিয়ে নিয়ে চলে যাই। আমাদের ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন বিএনপির কিছু নেতাকর্মী।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটির লোকজনই কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন বলেন, সোমবার মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রবাসী রেজাউলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তারা কর্মসূচি শেষ করে যাওয়ার পরে দলীয় শাখা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি আমি জেলা কমিটিকে জানিয়েছি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।