
লাহোরে দারুণ ব্যাটিং করলেন সালমান আগা। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং অভিযাত্রার সঙ্গী হলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। কিন্তু দুজনের কেউই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না। রিজওয়ান আগেভাগে ফিরলেও সালমান সাজঘরের পথে হেঁটেছেন নার্ভাস নাইনটিতে। ঠিক ইমাম-উল-হকের ভাগ্যবরণ করেছেন তিনি। তবে প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে প্রথম টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রেখেছে পাকিস্তান। কেননা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৬২ রানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা।
ফিফটি হাঁকিয়ে প্রথম দিন শেষে অপরাজিত থেকে গিয়েছিলেন রিজওয়ান ও সালমান। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে জাদুকরী তিন অঙ্ক ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন সালমান। কিন্তু থেমে যান ব্যক্তিগত ৯৩ রানে। আর রিজওয়ান পরাস্ত হন ৭৫ রান নিয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে ২৫৩ বলে ১৬৩ রানে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। সেনুরান মুথুস্যামি স্পিনে ঝলক দেখানোয় পরে আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১১৭ খরচ করে মুথুস্যামি একাই ফেলে দেন পাকিস্তানের ৬ উইকেট।
জবাবে ফিফটি করেন রায়ান রিকেলটন। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন টনি ডি দর্জিও। ৮১* রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দিন শেষে ক্রিজে টিকে আছেন দর্জি। তার আগে দলীয় স্কোরে ৭১ রান যোগ করে ফেরেন রিকেলটন। দুজনের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল আফ্রিকার দলটি। কিন্তু নোমান আলী দিয়েছেন তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পাকিস্তানের জার্সিতে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তারকা এ স্পিনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ৩৭৮/১০, ১১০.৪ ওভার (ইমাম ৯৩, মাসুদ ৭৬, রিজওয়ান ৭৫ ও সালমান ৯৩; মুথুস্যামি ৬/১১৭ ও প্রেনেলান ২/৭৮)।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ২১৬/৬, ৬৭ ওভার (দর্জি ৮১* ব্যাটিং, রিকেলটন ৭১, মার্করাম ২০, মুল্ডার ১৭; নোমান ৪/৮৫, সালমান ১/২১ ও সাজিদ ১/৭৩)। * দ্বিতীয় দিন শেষে