Image description
 

ঢাকা স্পার্টান্স, ব্লুজ ক্রিকেটার্স, ঢাকা রেঞ্জার্স ও গোল্ডেন ঈগল- ঢাকা লিগের বিভিন্ন পর্যায়ে খেলা ক্লাবগুলোর মালিকানা নিয়ে চলছে ঝামেলা। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি ক্লাবগুলোর মালিকানা দাবি করছেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ইতোমধ্যে মালিকানা দ্বন্দ্ব নিরসনে বিসিবি গঠিত ট্রাইব্যুনালে কাগজপত্র জমা দিয়েছে দুই পক্ষ।

 

ক্লাবগুলোর মালিকানা নিয়ে দৈনিক আমার দেশকে লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ক্লাবগুলোর দেখাশুনা করছেন তিনি। তবে ক্লাবগুলো চালানোর জন্য কোন প্রকারের অর্থ লেনদেন হয়নি বলেও জানান। ক্লাবগুলো এখনও আগের পক্ষই চালাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

 

ক্লাবগুলোর মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর। এর আগে ক্লাব মূলত চালাতো তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো এবং আরেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তাদের কাছ থেকে ক্লাবগুলো বুঝে নেওয়ার পর তানভীর ক্লাবের মালিকানা দাবি করেছে বলে জানান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। সে সময় বিসিবি থেকে তাকে জানানো হলে, বিসিবিকে কাগজপত্র জমা দেন লোকমান।

 

তানভীর আহমেদ ক্লাবের মালিকানা দাবি করার পাশাপাশি এগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও জানান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। সবশেষ ঘরোয়া মৌসুমে লিগে খেলেছে এই চার ক্লাব। সে সময়ে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকা ফারুক আহমেদ নিজ ক্ষমতাবলে ক্লাবগুলোকে অংশগ্রহণ ফি দিয়েছেন বলে জানান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। তানভীর এর আগে দাবি করেছেন ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ক্লাবগুলো কিনেছেন। এই ব্যাপারে লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ক্লাবগুলো সে কিনলেও ২০১৯-২০ থেকে ক্লাবগুলো ইসমাইল হায়দার মল্লিকের লোকজন চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্লাবগুলোর মালিকানার কোন কাগজ-পত্র ক্রিকেট বোর্ডে নেই।

 

তানভীরের অপহৃত হওয়ার দাবি প্রসঙ্গে লোকমান বলেন, তার সঙ্গে কখনও তানভীরের দেখা কিংবা কথা হয়নি। এমন কী নেই ব্যক্তিগত কোন পরিচয়। ট্রাইব্যুনালেও তাকে দেখা যায়নি বলেও জানান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। তানভীরের এই ঘটনার সঙ্গে তার কোন সাজসাজোশ আছে কি না সেটা খতিয়ে দেওয়ার আহবান জানান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।

 

ক্লাবগুলো নিয়ে বিসিবির ট্রাইবুন্যালের দেওয়া সিদ্ধান্তের পর আর কোন পথে অগ্রসর হবেন না বলেও জানান তিনি। এমন কী বিসিবিতে নির্বাচন করার কোন সিদ্ধান্তও তার নেই বলে জানান। এই চার ক্লাবের মালিকানা সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে তিনি আর আইনি কোন বিতর্ক বা জটিলতায় ও যেতে চান না। তবে তার দাবি ন্যায্যতো এই চার ক্লাবের মালিকানার দাবি যেন বিসিবি তার হাতেই ন্যস্ত করে।