
২০২৫ সালের ইউএস ওপেনে এসে থেমে গেল নোভাক জকোভিচের গ্র্যান্ড স্ল্যাম যাত্রা। সেমিফাইনালে তিনি হেরে গেলেন স্প্যানিশ তরুণ কার্লোস আলকারাজের কাছে, সেটাও সরাসরি সেটে (৬-৪, ৭-৬, ৬-২)।
২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা সার্বিয়ান তারকা এ বছর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামেই সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জার্মান আলেকজান্ডার ভেরেভের বিপক্ষে চোট পেয়ে ছিটকে যান, ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনে হেরে বসেন ইয়ানিক সিনারের কাছে। আর এবার নিউইয়র্কে ব্যর্থতার নাম আলকারাজ।
২২ বছর বয়সেই ক্যারিয়ারের সপ্তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠেছেন পাঁচটি শিরোপাজয়ী আলকারাজ। খেলবেন ইয়ানিক সিনারের সঙ্গে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জকোভিচ অকপটে মেনে নিলেন বাস্তবতা। 'আমি চারটির মধ্যে তিনটি সেমিফাইনালেই হেরে গেছি এই দুইজনের (আলকারাজ ও সিনার) কাছে। ওরা সত্যিই দারুণ খেলছে। আজও দ্বিতীয় সেট পর্যন্ত লড়াই করেছি, কিন্তু তারপর গ্যাস শেষ হয়ে যায়। শক্তি ধরে রাখতে পারিনি। পাঁচ সেটের ম্যাচে এই অবস্থায় খেলা আমার জন্য ভীষণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে,' বলেন জকোভিচ।
আলকারাজের কাছে আবার হারলেন জকোভিচ। ছবি: এক্স
তিনি আরও যোগ করেন—'আমার খেলার মান নিয়ে আমি খুশি। কিন্তু শারীরিকভাবে আর সেই জোর নেই। যতটা সম্ভব শরীরকে প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওদের সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ পর্যায়ে গিয়ে। তিন সেটের ম্যাচে হয়তো সুযোগ থাকে, কিন্তু পাঁচ সেটে আলকারাজ কিংবা সিনারের মতো প্রতিপক্ষকে হারানো এখন প্রায় অসম্ভব।'
তবু লড়াই ছেড়ে দিতে রাজি নন জকোভিচ। তার ভাষায়, 'আমি গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে পিছু হটছি না। সামনে আবার সুযোগ আসবে। আমি চেষ্টা করব ফাইনালে ওঠার, আরেকটি ট্রফি জেতার জন্য। যদিও সেটা ভীষণ কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে।'
তরুণদের উন্নতি নিয়েও কথা বলেছেন জকোভিচ—'এটা স্বাভাবিক। নতুন প্রজন্ম আসবেই, তারা উন্নতি করছেই। আলকারাজ আর সিনারের দল খুব ভালো কাজ করছে। ওদের প্রশিক্ষণ, কৌশল সবই যথাযথ। তাই প্রতিবছর ওরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।'
প্রশ্ন উঠছে—২৪টি শিরোপাজয়ী কিংবদন্তি কি আরেকবার ট্রফি হাতে তুলতে পারবেন, নাকি সময় হয়ে গেছে আলকারাজ-সিনার যুগকে পুরোপুরি মেনে নেওয়ার?