
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ম্যাচ খেলবে কিনা? এমন প্রশ্নে ভারতীয় সাবেক স্পিনার হরভজন সিংয়ের জবাব ছিল সোজাসাপ্টা—‘ঘাম ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। আমরা কেন তাদের এত গুরুত্ব দিই?’
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি আসর। এ টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান এবং স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। সূচি অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের।
তবে গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার এই ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এমনকি তখন শোনা যায়, দুই দল একে অপরের বিপক্ষে খেলতে রাজি নয়। এরপর এসিসির বার্ষিক সভাও অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়, যা বিসিসিআই ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এড়িয়ে যায়। পরে এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেন।
এই প্রেক্ষাপটেই হরভজন সিং বলেন, ‘আমার কাছে দেশ আগে। যারা সীমান্তে নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন, যাদের অনেকেই আর কখনো বাড়ি ফেরেন না, তাদের ত্যাগের তুলনায় একটি ক্রিকেট ম্যাচ খুবই তুচ্ছ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকারের অবস্থানও স্পষ্ট—রক্ত আর ঘাম একসঙ্গে বইতে পারে না। সীমান্তে যখন গোলাগুলি চলছে, তখন মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলা উচিত নয়। যতদিন না বড় সমস্যাগুলোর সমাধান হচ্ছে, ততদিন ক্রিকেট অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়।’
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিচয়টাই আসে এই দেশ থেকে। আপনি খেলোয়াড়, অভিনেতা, যাই হোন না কেন—জাতির চেয়ে কেউ বড় নয়। দেশের স্বার্থে ম্যাচ না খেলাটা বড় কোনো ত্যাগ নয়।’
পাকিস্তানকে নিয়ে হরভজনের বক্তব্য আরও কঠোর ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা কেন ওদের এত গুরুত্ব দিই? ওরা কি এতই গুরুত্বপূর্ণ? যদি আমরা তাদের বর্জন করি, মিডিয়াতেও তাদের প্রচার করার দরকার নেই। এটা মিডিয়ারও দায়িত্ব, যেন অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা না ছড়ায়।’
শেষে হরভজন বলেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলানো বা তাদের প্রতিক্রিয়া দেখানোও আমাদের উচিত নয়। ওরা ওদের দেশে বসে যা খুশি বলতে পারে, কিন্তু আমরা যেন সেটাকে গুরুত্ব না দিই।’
২০২৩ সালে সবশেষ হওয়া এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত। শেষ আসরের ফাইনালে তারা শ্রীলংকাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে।