
ক্রিস্টাল প্যালেসের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে ২০২৫ সালের ১৭ মে তারিখটি। ওয়েম্বলিতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় কোনো ট্রফি জিতল তারা—এফএ কাপ।
শুধু তাই নয়, এই জয়ে ইউরোপা লিগেও জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটি। অথচ এমন অর্জনের পরেও পা মাটিতেই রাখছেন ক্লাবটির অস্ট্রিয়ান কোচ অলিভার গ্লাসনার।
ম্যাচ শেষে প্যালেসের কোচ আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “একজন ফুটবলার বা কোচের সবচেয়ে বড় অর্জন ট্রফি নয়। আসল সফলতা হচ্ছে হাজার হাজার সমর্থকের জীবনে একটি বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করে দেওয়া। ”
প্রায় ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে ওয়েম্বলিতে জয়ের আনন্দ উদযাপন করেছে প্যালেস। অথচ তাদের জন্য এই মৌসুমের শুরুটা ছিল একেবারেই হতাশাজনক—টানা আট ম্যাচ জয়হীন, এপ্রিল মাসে ম্যানসিটি ও নিউক্যাসলের বিপক্ষে দুই বড় হারের ধাক্কা। কিন্তু সেই দলটাই মৌসুম শেষ করল গৌরবের ট্রফি হাতে।
গ্লাসনার ২০২২ সালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ইউরোপা লিগ জেতানোর পর এবার পেলেন ইংল্যান্ডে সাফল্যের স্বাদ। তিনিই প্রথম অস্ট্রিয়ান কোচ যিনি এফএ কাপ জিতলেন।
“আমরা বলেছিলাম নিজেদের ইতিহাস আমরা নিজেরাই লিখব এবং আমরা সেটাই করেছি,”—বলেছেন গ্লাসনার।
হেন্ডারসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি: 'বাবা আজ আমার সঙ্গে ছিলেন প্রতিটি কিকেই'
এই ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন প্যালেস গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। প্রথমার্ধে সিটির ওমর মারমুশের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন তিনি। ম্যাচ শেষে কান্নাভেজা গলায় বলেন, “মৌসুমের শুরুতে আমি বাবাকে হারিয়েছি। কিন্তু আজ তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন প্রতিটি কিকেই। এই জয় আমি আমার বাবাকে উৎসর্গ করছি। ”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই গোলরক্ষক এই মৌসুমেই প্রথমবার ইংল্যান্ড জাতীয় দলের মূল একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। মৌসুমের শেষে তিনি পেলেন সবচেয়ে বড় পুরস্কার—এফএ কাপ জয়।