Image description

সিলেটের গোয়াইনঘাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আমিনের বিরুদ্ধে জুলাই আহতদের অনুদানের চেক পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী কাছ থেকে তিনি তার অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

অভিযোগ উঠা আশরাফুল আমিন গোয়াইনঘাট উপজেলা নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের আব্দুস সুবহানের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে শুক্রবার (১৬ মে) গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জুলাই আহতদের গেজেটের মধ্যে তার নাম দেখে (গেজেট নম্বর ১৮৭ মেডিকেল কেস আইডি নং ২৩৪৭২) শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, যারা প্রকৃতপক্ষে যারা আহত হয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষের হামলাকারীকে কীভাবে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আমিনের নামে জুলাই আহতদের অনুদানের চেক এসেছে এবং তাও আবার হস্তান্তর করা হয়েছে। এটা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। এটা কীভাবে সম্ভব? আশরাফুল আমিন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলায় অংশগ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তার নাম তালিকা থেকে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

জুলাই আহতদের অনুদানের চেক পেলেন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাজুলাই আহতদের অনুদানের চেক পেলেন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. আশরাফুল আমিন কালবেলাকে বলেন, ২০১৭ সালে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা একটি হত্যা মামলায় এবং ৮ মাসের ব্যবধানে ২০১৮ সালে আরও একটা হত্যা মামলার আসামি হই। এ সময় দলীয়ভাবে কোনো শেল্টার না পেয়ে তখন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করি। এরপর থেকে রাজনীতিতে আমি নিষ্ক্রিয় হই। মামলার আসামি হওয়ায় পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন ভারত এবং দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটাই।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি এ আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। গত ৪ আগস্ট সিলেট শহরের মেলেনিয়াম মার্কেটের সামনে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে গুলিবিদ্ধ হই। গুলিতে আমার শরীরে ৫টি গুলি লাগে। আহত হয়ে সিলেট ইউমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শরীর থেকে ৩টি গুলি বের করতে সক্ষম হই। এখনো শরীরে আমার শরীরে আরও দুই গুলি রয়েছে। তাছাড়া আমি নিজে ইচ্ছাকৃতভাবে এ তালিকায় নাম দেই নাই।

এ বিষয়ে জানতে ইউএনও রতন কুমার অধিকারীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি জানার পর আজকে একটি প্রতিনিধি টিম নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এসেছি। এ বিষয়ে আলোচনা হবে প্রশাসনের সঙ্গে। কীভাবে এ রকম একটি লোকের নাম আসে তা খতিয়ে দেখা হবে। যারা প্রকৃতপক্ষে আহত এবং জেনোইন তারা যেন এ তালিকা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং যারা ভুয়া আহত হয়ে এই লিস্টে ঢুকছে তারা যেন থাকতে না পারে আমাদের জায়গা থেকে ক্লিয়ারলি মেসেজ দেওয়া হবে।