
নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তির অভিযোগ এনে রংপুর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার (১৮ মে) দুপুর ২টার দিকে শুরু হওয়া এ ঘটনা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা নগর ভবনে সব ধরনের সেবামূলক কাজ বন্ধ ছিল। বিকেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলে তারা কাজে যোগ দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, নগর ভবনে শিশুদের টিকা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্ড, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সেবা নিতে এলেই কর্মকর্তারা ট্যাক্স পরিশোধিত হোল্ডিং নম্বর চাচ্ছেন। এমনকি বাচ্চার টিকা নিতে গেলেও ট্যাক্স পরিশোধ না হলে সেই টিকা দিচ্ছেন না। একাধিক কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করেও সেই সেবা মিলছে না। এমন হয়রানি দিনের পর দিন চলছে।
তাদের অভিযোগ, এই নগরীতে শুধু বাড়ির মালিকরাই থাকেন না, থাকেন ভাড়াটিয়া, বস্তিবাসী, এমনকি নিম্ন আয়ের মানুষজনও, যাঁরা করের আওতায় আসেন না। এ ছাড়া বর্ধিত আরো ১৮টি ওয়ার্ড এখনো করের আওতায় আসেনি। কিন্তু পরিশোধিত ট্যাক্স টোকেন না থাকলে তারাও হয়রানির মুখে পড়ছে।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, ‘নগর ভবনের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য গত মাসের মাসিক মিটিংয়ে ট্যাক্স টোকেন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কারো আপত্তি থাকলে বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা দেখব।’