
গত ১৭ মার্চ সিলেটে পা রাখার পর বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের নিজ বাড়ি পর্যন্ত উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেয়েছিলেন হামজা চৌধুরী। সেদিন সিলেটের মানুষ শুধু হামজাকেই দেখেছেন, হামজার খেলা দেখেননি।
এবার হয়তো সে সুযোগও পাবেন তাঁরা, যদি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি উদ্যোগ সফল হয়। নভেম্বরে হামজার শহর সিলেটে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করতে চাইছে তারা।
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় হামজার।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ম্যাচ ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। এ প্রতিযোগিতায় ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে (আগের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম) হংকংকে ও ১৮ নভেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ভারতকে আতিথেয়তা দিতে চায় বাংলাদেশ।
আজ বাফুফেতে সাংবাদিকদের বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা দুইটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের (ভারত ও হংকং) একটা সিলেটে, আরেকটা চট্টগ্রামে আয়োজন করতে চাই। আমি গত শুক্রবার সিলেটের মাঠ দেখতে গিয়েছিলাম। মাঠের কন্ডিশন ভালো। যেহেতু এখন সেখানে কোনো লিগের খেলা হচ্ছে না, ঘাস একটু বড়। তবে যা অবস্থা, কিছু সংস্কার করে ম্যাচ চালানো সম্ভব।’

এর আগে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ হয়েছিল। ২০২২ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে একটি ও ২০২৩ সালে সেশেলসের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল। তিনটি ম্যাচেই বিপুলসংখ্যক দর্শক ছিল গ্যালারিতে।
হামজা খেললে সিলেটের মাঠে দর্শকদের ঢল নামবে বলেই আশা বাফুফের। সঙ্গে সিলেটেরই আরেক ফুটবলার কানাডাপ্রবাসী শমিত সোমও খেললে তো কথাই নেই।
বাফুফের সদস্য ইকবালের আশা, ‘সিলেটে অতীতে যে ম্যাচগুলো হয়েছে, সেখানে দর্শকের ভালো সমাগম আমরা দেখেছি। আগামী দিনে হামজা–শমিত থাকলে সিলেটবাসীর জন্য সেটা আরও দারুণ কিছুই হবে।’