Image description

প্রায় আট মাস আগে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) কিছু কর্মকর্তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষার ‘পাণ্ডুলিপি’ উদ্ধার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপর সেগুলো যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয় পিএসসিতে। পিএসসি থেকে সিআইডিকে নিশ্চিত করা হয়, উদ্ধার করা এই প্রশ্নগুলো দশম গ্রেডের (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রাফটম্যান ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী পদ) দুটি পরীক্ষার তিনটি প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। পিএসসি থেকে আরও বলা হয়, তাদের প্রশ্ন সংরক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী এগুলো কোনোভাবেই কোনো কর্মকর্তার বাসায় যাওয়ার কথা নয়।

ওই ঘটনা ছাড়াও গত বছরের জুলাইয়ে বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগে প্রশ্নফাঁসে জড়িত অভিযোগে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। আবেদ আলী ছাড়াও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর, উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, পিএসসির বাইরে নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান, নোমান সিদ্দিকী, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, জাহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন, লিটন সরকার ও সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। সোহানুর রহমান সিয়াম পিএসসির সাবেক ড্রাইভার আবেদ আলীর ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তারা ৩৩তম বিসিএস থেকে সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষাসহ নন-ক্যাডার নিয়োগের একাধিক পরীক্ষার প্রশ্ন

ফাঁস করেছেন। ওই ঘটনার পর কেটে গেছে আট মাসেরও বেশি সময়; কিন্তু চক্রটির হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। আর পিএসসি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রশ্নফাঁস ঠেকাতেও পালন করছে রহস্যময় নীরবতা।

এতসব ঘটনার মধ্যেও গত বছর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৫ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছিল সিআইডি, যারা পরীক্ষার আগের রাতে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মুখস্থ করেছিলেন। তাদের প্রবেশপত্রসহ ডিজিটাল আলামতও উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন পাস করলেও চারজন প্রশ্ন পেয়েও ফেল করেন। ৫ আগস্টের পর ‘বৈষম্য দূর’ করার যুক্তিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ করে মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে ফের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। সংশোধিত সেই ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রশ্ন পাওয়া কেউ তো বাদ পড়েননি; বরং অনুত্তীর্ণ চারজনের মধ্যে তিনজন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়ার পরও সেই পরীক্ষা বাতিল না করে এবং জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বহাল রেখেই আগামী ৮ মে থেকে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করে পিএসসি। আন্দোলনের চাপের মুখে অবশেষে গতকাল রোববার রাতে লিখিত এই পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম।

এর আগে পিএসসির এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে বসেছিলেন প্রিলিমিনারি পাস করা বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এ ছাড়া গতকাল ও আগের দিন শনিবার পিএসসি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে একদল চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থী। দুইদিন তারা শাহবাগ মোড় ‘ব্লকেড’ করে রাখেন।

নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত নতুন ফলে উত্তীর্ণ আবদুল্লাহ আল মারুফ, সৈয়দ হাজ্জাজ বিন রাজ এবং সাকিব আনোয়ার এর আগে ৯ মে প্রকাশিত ফলে ফেল করেছিলেন। এই তিনজনই পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন পেয়েছিলেন এবং সেই প্রশ্ন তারা মুখস্থ করেছিলেন রাজধানীর আদাবরে অবস্থিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পদক্ষেপের গেস্ট হাউসে। গেস্ট হাউসে প্রবেশের রেজিস্টার খাতায় তাদের উপস্থিতির পাশাপাশি চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ডিজিটাল আলামতও পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে সৈয়দ হাজ্জাজ বিন রাজ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের উপ-মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক। শুধু ৪৬তম নয়, ৪৫তম বিসিএসের প্রশ্নও আগে পেয়েছিলেন তিনি। প্রশ্নের বিনিময়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতি জীবন রায়ের সঙ্গে তার ২৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। রাজকে তিনি পাঠান দিনাজপুরের সজল কুমার মণ্ডলের মাধ্যমে ব্যবসায়ী আল মামুনের কাছে। এই মামুনের পেছনেও ছিলেন আরেকজন। তিনি বিসিএস প্রশ্নফাঁসের মাস্টারমাইন্ড মিজানুর রহমান ওরফে এমডি মিজান। দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিজি প্রেসের বাইন্ডার আকরাম এবং পোর্টার মজনুর মাধ্যমে প্রশ্ন সরিয়ে সারা দেশে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতেন মিজান। জীবন রায়, আল মামুন ও মিজানুর রহমান তিনজনই এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। মিজানের গুরু ছিলেন বিজি প্রেসের সাবেক কম্পোজিটর এ টি এম মোস্তফা। ২০০২ সাল থেকে মোস্তফার মোটরসাইকেলের চালক হিসেবে কাজ শুরু করে মিজান ধীরে ধীরে পুরো চক্রের নিয়ন্ত্রণ নেন। ২০১০ সালে রংপুরে মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে মোস্তফা গ্রেপ্তার হলে চক্রের নেতৃত্বে চলে আসেন মিজান। এই চক্রে মিজান ও মোস্তফার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিলেন রংপুরের ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আতিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাহবুবুর রহমান দীপু, দিনাজপুরের ব্যবসায়ী আল মামুন, নীলফামারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান কালু, ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সুইট, স্কুলশিক্ষক সেফাউল, মাদ্রাসাশিক্ষক নূর মোহাম্মদ, পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী, কেয়ারটেকার আসলাম, মিরপুরের ব্যবসায়ী বিপাশ চাকমা এবং ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এদের নাম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতেও বলেছেন। তবে আবেদ আলী ছাড়া বাকিরা এখনো অধরা।

ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র পেয়ে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ যে ১১ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা গেছে তারা হলেন—মো. রুবেল হোসেন, মো. মাহমুদুল হাসান, মো. কামরুল হাসান, মো. ইকবাল মিয়া, প্রসেনজিৎ চাকমা, হাসান আহমেদ শায়েল, মৌমিতা ব্যাপারী, রুনেল চাকমা, একেএম আবু রায়হান, এসএম আবির হোসেন এবং মো. রাব্বের আলী। প্রশ্ন মুখস্থ করে পরীক্ষা দেওয়া আরও ৯৫ শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ এবং ফল যাচাইয়ের কাজ করছে সিআইডি।

চিঠিতে সিআইডিকে যা জানিয়েছে পিএসসি: আট মাস আগে দশম গ্রেডের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রাফটম্যান ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী পদে পরীক্ষার কিছু ‘পাণ্ডুলিপি’ পিএসসির কর্মকর্তাদের বাসা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় পিএসসি একটি চিঠি দিয়েছে সিআইডিকে। সেই চিঠির কপি এসেছে কালবেলার হাতে। চিঠিতে পিএসসি বলেছে, ‘ইউনিট-১-এর আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রাফটসম্যান (১০ম গ্রেড) এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষা কমিশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিআইডি ঢাকা কর্তৃক প্রেরিত পাণ্ডুলিপির সঙ্গে ওই পদ দুটির লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের, ক. বাংলাদেশ বিষয়াবলি-১৫ নম্বর, খ. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি-১৫ নম্বর, গ. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-১০ নম্বর এর প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া যায়।’

চিঠিতে সিআইডি থেকে পিএসসির প্রশ্ন সংরক্ষণ নীতিমালা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেটিও সিআইডিকে জানিয়েছে পিএসসি। পিএসসি চিঠিতে বলেছে, ‘বিপিএসসি কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার হাতে লেখা প্রশ্নপত্র সিলকৃত খামে প্রশ্নকারকের কাছ থেকে পাওয়ার পর রীতি অনুযায়ী বিজ্ঞ সদস্য মহোদয়ের আলমারিতে তালাবদ্ধ অবস্থায় সংরক্ষণ করা হতো। পরবর্তী সময়ে প্রশ্নপত্র মডারেশনের সময় প্রশ্নপত্র সদস্যদের কাছ থেকে ইউনিটের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সিলকৃত অবস্থায় মডারেশন রুমে নিয়ে মডারেটরদের সরবরাহ করা হতো। মডারেটর কর্তৃক সিলকৃত খাম খুলে মডারেশন কাজ সম্পন্ন হলে মডারেটর ‘মডারেটেড প্রশ্নপত্র’ ও ‘প্রশ্নকারকের প্রশ্নপত্র’ পৃথক খামে নিজ হাতে ঢুকিয়ে সিল করে ইউনিটের কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিতেন। কর্মকর্তা মডারেশন রুম থেকে সরাসরি বিজ্ঞ সদস্যের কাছে জমা দেওয়ার পর এগুলো বিজ্ঞ সদস্য মহোদয়ের আলমারিতে তালাবদ্ধ অবস্থায় সংরক্ষণ করা হতো। পরীক্ষার দিন মডারেশনকৃত দুই সেট প্রশ্নপত্র বিজ্ঞ সদস্যের আলমারি খুলে মুদ্রণ কক্ষে নিয়ে লটারির মাধ্যমে এক সেট প্রশ্নপত্র মুদ্রণ করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হতো এবং অব্যবহৃত এক সেট প্রশ্নপত্র প্রশ্ন ব্যাংকে জমা দেওয়া হতো।’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রণীত প্রশ্নপত্র বা মডারেশনকৃত প্রশ্নপত্র কোনো বিজ্ঞ সদস্যের কক্ষে ব্যক্তিগত হেফাজতে রাখার বিধান নেই। বর্তমানে প্রণীত ও মডারেশনকৃত প্রশ্নপত্র ভল্টরুমে সংরক্ষণ করা হয়। এটাই স্বীকৃত রীতি।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেমকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে যোগাযোগ করা হয় পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘৪৬ বিসিএসের বিষয়ে আমরা সিআইডির কাছে তথ্য চেয়েছিলাম। তবে তারা আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি। যে কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—প্রশ্ন পেয়েছেন এমন সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে যে বা যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিআইডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘মামলাটি আসলে ৪৬ বিসিএস নিয়ে নয়। রেলওয়ের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি জানতে পারি। গ্রেপ্তার আসামিরা আদালতে ৪৬তম বিসিএসসহ অন্যান্য বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এরপর আমরা তদন্ত করে সেটির প্রাথমিক প্রমাণও পাই। তারা যে গেস্ট হাউসে বসে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন মুখস্থ করেছেন সেই ভিডিও আছে আমাদের কাছে। মামলাটির আপাতত তদন্ত চলছে।’

পিএসসিকে তথ্য না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাটি ঠিক উল্টো। তারাই আমাদের কোনো সহায়তা করেনি। এ ছাড়া আমরা আদালতের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা আদালতে প্রতিবেদন দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধরুন, আগামীকাল পিএসসির মিটিং, তারা মিটিংয়ের সেই চিঠি পাঠাত এক দিন আগে। ডাকযোগে সেই চিঠি আমাদের কাছে পৌঁছাত আরও দুদিন পরে। চিঠিতে কোনো মোবাইল নম্বরও থাকত না, টিএনটি নম্বর থাকত। একই কাজ দুবার করার পর আমরা আমাদের ফোন নম্বর দিয়ে লিখে দিয়েছিলাম— প্রয়োজনে ফোনে যোগাযোগ করা যেতে পারে। তারা কোনো যোগাযোগ করেনি। তাদের ভূমিকা আসলে রহস্যজনক।’

দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল বিকেলে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘পিএসসি নিয়ে সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘসূত্রতা, অনিয়ম এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই আন্দোলন (পিএসসি সংস্কার) শুরু হওয়ার পরপরই যারা দায়িত্বে আছে, তাদের কাছে ছাত্রদের দাবিগুলো পৌঁছে দিয়েছি। গত সোমবার আন্দোলনকারীদের একটা টিমের সঙ্গে বসার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে সেটা হয়ে ওঠেনি। তবে ছাত্রদের দাবিগুলো আমার পক্ষ থেকে কনসার্ন অথরিটিকে বারবার পাঠানো হয়েছে। বেকারত্ব নিরসনে এখন পর্যন্ত একক মন্ত্রণালয় হিসেবে পুলিশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় থেকে সর্বোচ্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গিয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। সামনের কয়েক মাসে আরও অন্তত ১০ হাজার নিয়োগ হবে। পিএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অথবা ডিক্টেট করার অথরিটি আমার নেই। আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব করছি, সামনেও করে যাব, ইনশাআল্লাহ।’