
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আগ্রাসী আচরণ করায় এক ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। শনিবার ডিপিএলে মোহামেডান ও আবাহনীর ম্যাচে ঘটে এই ঘটনা।
তাওহীদকে নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এবাদত হোসেনকে আচরণের কারণে তিরস্কার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ক্লাব ও ক্রিকেটারের পক্ষ থেকে অনুরোধ ধরায় জরিমানা স্থগিত করা হয়েছে।
বিসিবির ম্যাচ রেফারি নেয়ামুর রশিদ রাহুল শুনানিতে হৃদয় ও এবাদতকে এই সাজা দেন। তারা দায় স্বীকার করে সাজা মেনে নেওয়ায় আলাদা করে শুনানির দরকার পড়েনি। ম্যাচে আবাহনীকে ৩৯ রানে হারিয়েছে মোহামেডান।

আম্পায়ার সৈকতের প্রতি আগ্রাসী হৃদয়। ছবি: বিসিবি
ঘটনার সূত্রপাত মোহামেডানের রান তাড়া করতে নামা আবাহনীর ইনিংসে। অষ্টম ওভারে ইবাদতের করা প্রথম বল মিঠুনের প্যাডে লাগে। লেগ বিফোর আউটের জোরাল আবেদন করেন এবাদতরা। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ।
এতেই ক্ষুব্ধ আচরণ করেন মোহামেডানের ডানহাতি পেসার এবাদত। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি। নিজের হাতের সোয়েট ব্যান্ড খুলে মাটিতে ছুড়ে মারেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। তিনি লেগ আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন।

আম্পায়ারের প্রতি আগ্রাসী আচরণে নিষিদ্ধ হৃদয়। ছবি: বিসিবি
মোহামেডানের ক্রিকেটারদের খেলা শুরুর ইঙ্গিত দিতেই তার প্রতি আগ্রাসী আচরণ করেন হৃদয়। আঙুল উঁচিয়ে ও চোখ-মুখে রাগ নিয়ে বাজেভাবে সৈকতকে কিছু একটা বলতে থাকেন তিনি। এগিয়ে এসে হৃদয়কে সরিয়ে নেন মেহেদী মিরাজ। আম্পায়ারকে জড়িয়ে ধরে সরান মুশফিক।
পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন আবাহনীর টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল শান্তও। যদিও তার আগে মেহেদী মিরাজের বলে শান্তকে আউট না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মোহামেডানের ক্রিকেটারদের। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিঠুনকে করা ইবাদতের বলটির ‘ইমপ্যাক্ট’ অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল।