Image description

প্রবাদ আছে ‘‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার"। কিন্তু টাইগারদের শুরু এবং শেষ কোনোটাই ভালো হয়নি। আফগানিস্তানের মতো এশিয়ার উঠতি দলের সঙ্গেও পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

ইনিংসের শুরুতে এবং শেষের দিকে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে তিনশ ছুঁই ছঁই স্কোর গড়ার সুযোগ থাকলেও তা করতে পারেনি বাংলাদেশ।

ইনিংসের শুরুতে ৫৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়। এই জুটিতে চতুর্থ উইকেটে তাড়া ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।

একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে ১৫৪ রান করা বাংলাদেশ; এরপর রশিদ খানের গুগলিতে খেই হারিয়ে ফেলে। যে কারণে শেষ দিকে মাত্র ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানে অলআউট হয়।

বুধবার আরব আমিরাতের আবু ধাবি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ২৫ রানে ফেরেন ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার সাইফ হাসান।

৫৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ১৪২ বলে ১০১ রানের জুটি।

৩৫.১ ওভারে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৪ রান। এরপর ৯ ওভার তথা ৫৪ বলে ৪১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন হৃদয়। ৮৫ বল খেলে এক চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। 

এরপর রশিদ খানের গুগলিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহন।

১০ ওভার তথা ৬০ বলে মাত্র ৩৮ রান খরচ করে মিরাজ, জাকের এবং নূরুল হাসান সোহানকে আউট করে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ধসিয়ে দেন রশিদ খান। 

মিরাজ ৮৭ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ৬০ রান করলেও ১৬ বলে ১০ রান আর ১৪ বলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি জাকের ও সোহান।

এরপর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান না থাকায় শেষ দিকে ৩৪ বলও খেলতে পারেননি পেস বোলার হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব ও স্পিনার তানভির ইসলাম। 

শেষ দিকে একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।