
দেশের ক্রিকেটকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর অ্যান্টি করাপশন ইউনিট।তবুও ফিক্সিং ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রবণতা থামছে না। এসবের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী অবস্থান নিতেই বিসিবি নিজেদের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটে নিয়োগ দিয়েছে আইসিসির সাবেক অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শালকে।
অ্যালেক্স মার্শালকে অ্যান্টি করাপশন কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তিনি বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে ঢেলে সাজাতে কাজ করবেন। মার্শাল আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশে এসে ক্রিকেটার, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টসহ আকুর (অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) বর্তমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক ওয়ার্কশপ করবেন। এসময় অতীতে আকুর কার্যক্রম নিয়ে ধারণাও গ্রহণ করবেন তিনি।
বিসিবি পরিচালক মিঠু জানান,‘আমাদের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য আইসিসির ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়োগ দিচ্ছি। স্থানীয় টুর্নামেন্টে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করেছি তার ভিত্তিতে আমরা এই ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে চাই।’
অ্যালেক্স মার্শাল যুক্তরাজ্যের পুলিশ বাহিনীতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এবং ২০১৭ সালে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার পদে যোগ দেন। আইন প্রয়োগ ও অপরাধ দমন বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন মাত্রা যোগ করে।
মার্শাল ২০২২ সালে ‘পরিবারকে সময় দিতে চান’ বলে আইসিসির চাকরি ছেড়ে দেন। আইসিসির দায়িত্বে থাকার সময় কয়েক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে ঢুকে পড়া দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম চালায় মার্শাল ও তাঁর ইউনিট। শ্রীলঙ্কা সরকার পরে ম্যাচ ফিক্সিং–সংক্রান্ত আইনও করে। তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে ২০১৯ সালে দেশটির সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়াসুরিয়াকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
শুধু জয়াসুরিয়াই নন, মার্শাল দায়িত্বে থাকার সময় নিষিদ্ধ হন আরও দুজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ২০১৯ সালে দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়েও তা আকসুকে না জানানোর দায়ে তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি (এক বছর স্থগিত)। ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি অভিযোগে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক।