Image description
 

জামায়াতে ইসলামী সহ আসন সমঝোতাকারী ১০ টি দলের শীর্ষ নেতারা সোমবার তাদের মনোননয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সমঝোতার বিষয়টি এখনো চুড়ান্ত না হওয়ায় বিভিন্ন দল থেকে অতিরিক্ত অনেক আসনে ফরম জমা দেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থীদের নিরাপত্তা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।

 

জামায়াতে ইসলামী

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগারগাঁওয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ সময় এহসানুল মাহবুব জোবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের পরিবেশের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জামায়াত আমিরের জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন।

খুলনা-৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এটি জমা দেন। এ সময় তিনি খুলনা-৫ আসনের সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া এবং সমর্থন কামনা করেছেন।

রাজশাহী-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

এছাড়া নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লা-১১, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ-৪, ড. হামিদুর রহমান আযাদ কক্সবাজার-২, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল-৫, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম রংপুর-২, সাইফুল আলম খান মিলন ঢাকা-১২, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহ-৫, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নুরুল ইসলাম বুলবুল চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সিলেট-৬, এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ পটুয়াখালী-২ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মোট কতটি আসনে দলটির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তা জানা যায়নি। অবশ্য সমঝোতার কারণে প্রত্যাশী অনেকেই মনোনয়ন জমা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

ইসলামী আন্দোলন

২৭২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে শীর্ষ নেতারা হলেন, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বরিশাল-৫ ও ৬, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আওয়াল খুলনা-৩, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ঢাকা-৪, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ খুলনা-১ ও ৪, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান গাজীপুর-৫, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম কুমিল্লা-২, শেখ ফজলে বারী মাসউদ ঢাকা-১১, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম কুমিল্লা-৩, মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের বরিশাল-৪, কেএম আতিকুর রহমান মুন্সিগঞ্জ-১, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক ঢাকা-৯ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এলডিপি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে ২৫টির বেশি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দলের চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ওমর ফারুক চট্টগ্রাম-১৪ এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বেলাল হোসেন মিয়াজী চাঁদপুর-২ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া দলের শীর্ষ নেতা নিজামুল বশির চাঁদপুর-৪, আওরঙ্গজেব বেলাল ময়মনসিংহ, ইয়াকুব চট্টগ্রাম, মাহী আলম ভোলার আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।

খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিসের ৬৭ জন প্রার্থী মনোনয়মপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দলের আমির আব্দুল বাছিত আজাদ হবিগঞ্জ-২ এবং মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হচ্ছেন। এছাড়া সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন খুলনা-৪, নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ঢাকা-১০ ও কিশোরগঞ্জ-১, নায়েবে আমির অধ্যাপক সিরাজুল হক কুষ্টিয়া-৩, নায়েবে আমির মুফতি আবদুল হামিদ কুষ্টিয়া-৩, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন বরগুনা-১, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী সিলেট-২, এবিএম সিরাজুল মামুন নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ফেনী-২ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে অন্তত ১০০ আসনে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-দলের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ঢাকা-১৩ ও বাগেরহাট-১, অভিভাবক সদস্য মাওলানা আকরাম আলী ফরিদপুর-২, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ শরিয়তপুর-১, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে।

খেলাফত আন্দোলন

খেলাফত আন্দোলন থেকে আট জন প্রার্থীর ৯ আসনে মনোনয়ন জমার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে শীর্ষ নেতারা হলেন, ঢাকা- ৭ মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, ঢাকা-৫ আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, ঢাকা- ১৬ মাওলানা তাওহীদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ- ৩ আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, শরীয়তপুর-২ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ফরিদপুর- ২ অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বকুল মিয়া, ফেনী- ১ মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ ভূইয়া, ফেনী- ২ আবুল হোসেন ফারুক এবং ফেনী-৩ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাটোয়ারী।

জাগপা:

জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান পঞ্চগড়-১ ও ২ আসনে এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিজামুদ্দিন অমিত যশোর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নেজামে ইসলাম পার্টি

নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার চট্টগ্রাম-১৬ আসন থেকে এবং আরো ১০ জন প্রার্থী বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দলটির ৫০ জন প্রার্থী ফরম তুললেও শেষ মুহুর্তে দলীয় নিবন্ধন পাওয়ার কারণে অনেকে তা জমা দিতে পারেননি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিডিপি

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান ময়মনসিংহ-৯ এবং মহাসচিব মুহা. নিজামুল হক নাঈম ভোলা-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।