Image description
 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রংপুর ২ বদরগঞ্জ তারাগঞ্জ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কাছে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ। যে যার ধর্ম পালন করবে এখানে কেউ বাধা দিতে পারে না। বরং ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ আমলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হতো। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হতো। তাদের সময় কেউ নিরাপদ ছিল না।

 

তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে তাদেরকে বিতাড়িত করার অনেক অভিযোগ রয়েছে পূর্বের সরকার ষগুলোর বিরুদ্ধে। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর বা লুটপাট করার কোন অভিযোগ আসেনি। যদি অনেক সময় উস্কানি বলুক কোন কর্মকাণ্ডের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়গুলো দলীয়ভাবে বিবেচ্য নয়।

 

মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর রাত ৮ টায় বদরগঞ্জ উপজেলার ৭ নং গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আয়োজিত সনাতন ধর্মাবলম্বী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এটিএম আজহারুল ইসলাম আর বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা হামলা ভাঙচুর চালিয়ে টুপিওয়ালাদের উপর দোষ দিত। আর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ কোন কিছু যাচাই না করে সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর উপর দোষারোপ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশের নিরাপদ নয় বলে পোপাগান্ডা চালাত। আমরা মনে করি ইসলামের পক্ষে শক্তি ক্ষমতায় এলে এদেশে বেশি নিরাপদ সনাতন ধর্মালম্বির লোকজন। কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম অন্য ধর্মকে রক্ষা করার শিক্ষা দেয়।

 

তিনি বলেন আপনারা দেখেছেন, দেশের ক্লান্তি লগ্নে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জামাত ও শিবিরের লোকজনের পাশাপাশি এদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষ পূজা মণ্ডপগুলোতে পাহারা দিয়ে তাদেরকে নিরাপদ রেখেছেন। কারণ ভারতে পালিয়ে ঢাকা ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া পায় তারা করেছিল। এখনো আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা বসে নেই। তারা সুযোগ পেলেই যে কোন সময় যে কারো উপরে হামলা নির্যাতন করতে পারে এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

 

ইউনিয়ন সভাপতি আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আর বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত আমির শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিনহাজুল ইসলামসহ ইউনিয়ন ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।