Image description

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় কোটা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন মোট দুইজন। সেলিম হোসেন মাস্টার ও রনি। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের পঞ্চদাশ ননখুর গ্রামের বাসিন্দা রনি ঢাকায় রিক্সা চালানো অবস্থায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হন। বিধমা মা, দুই পুত্র ও স্ত্রীর সংসারে উপার্জন করা ব্যক্তি ছিল রনি। আমার দেশ এ সংবাদ প্রকাশের পর শহীদ রনি'র মাকে নতুন ঘর উপহার দেয় শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি।

 

হাসিনার রায় ঘোষণার পরে শহীদ রনির মা শাহনাজ বেগম আমার দেশকে বলেন, খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় হওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। তবে হাসিনাকে যদি নিজ হাতে গুলি করে খুন করতে পারতাম তাহলে আরো বেশি খুশি হতাম। ও যদি দেশে থাকতো তাহলে আমি নিজের হাতেই আইন তুলে নিতাম। কিন্তু হাসিনা পালিয়ে গেছে।

 

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের পালিকান্দা গ্রামের আরেক শহীদ সেলিম হোসেনের মায়ের সাথে কথা হয়। হাসিনার মানবতা-বিরোধী অপরাধে রায় ঘোষণার পর তাদের অনুভূতি জানতে চাইলে শহীদ সেলিমের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, সন্তান হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে হাসিনার ফাঁসির রায়ের অপেক্ষা করছিলাম। রায়ে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্ট। তবে হাসিনাকে দেশে ফিরে এনে ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করলে আমার শহীদ ছেলের আত্মা আরো শান্তি পেত।