Image description
 

ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের আশ্বস্ত করেছেন, সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। দলের প্রতি যারা নিবেদিত, যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এমন কাউকেও দল ভুলবে না। সবাইকে মূল্যায়িত করা হবে

 

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচন সামনে রেখে সব ধরণের প্রস্ততি নিচ্ছে দেশের বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এরই অংশ হিসেবে দেশের ৩শ’ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এই তালিকায় নাম নেই দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাসহ অনেকের। অবশ্য বিএনপির হাইকমান্ড সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে কৌশলগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। যারা মনোনয়ন পাননি তাদেরকে বিভিন্নভাবে মূল্যায়িত করা হবে। এমনকি ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশ নির্বাচনে প্রার্থী করার জন্যও একাধিক বঞ্চিত নেতাকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান শীর্ষনিউজ ডটকমকে বলেন, ২৩৭ আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়নবঞ্চিতরা অনেকেই যোগাযোগ করছেন। তবে সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের আশ্বস্ত করেছেন, সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। দলের প্রতি যারা নিবেদিত, যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এমন কাউকেও দল ভুলবে না।

একই কথা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, যারা মনোনয়ন পাননি, বিশ্বাস রাখুন, দল তাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে। তিনি আরও লেখেন, আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং সব নেতা-নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সব কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, আজীবন সঙ্গে থাকার জন্য।

এদিকে সূত্রে জানা গেছে, দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ কয়েকটি বড় শহরের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ইতোমধ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় উঠে এসেছে।

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালের নাম আলোচনায় রয়েছে। এর আগে তিনি ২০১৫ ও ২০২০ সালের দুই দফা সিটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আফরোজা আব্বাস। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি। সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

অপরদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র পদে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। যদিও তিনি বর্তমান চসিক মেয়র হিসেবেই দায়িত্বরত আছেন। শাহাদত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছিলেন আরিফ। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি এই হেভিওয়েট নেতা।

জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এর আগেও তিনি ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

যদিও রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের নাম জানা যায়নি। সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের মতামত ও সাংগঠনিক অবস্থান যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম জানানো হবে।

শীর্ষনিউজ