Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে পুরনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে নতুন বন্দোবস্তের লড়াই। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তিনির্ভর অসুস্থ রাজনীতির বিরুদ্ধে জনসেবা, দেশপ্রেম ও সততার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘‘দেশের মানুষ ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সর্বত্র আজ ইসলামকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চাওয়া মানুষের উপস্থিতি। এই বাস্তবতায় দেশের সব ইসলামপন্থী শক্তি একত্রে ‘একবাক্স নীতি’ গ্রহণ করেছে, যাতে ইসলামমনস্ক মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত না হয়। ইসলামপন্থার এই ঐক্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কালোটাকা ও পেশিশক্তির বিরুদ্ধে সততা, জনসেবা ও সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব; বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসবে, ইনশাআল্লাহ।”

 

তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলেই ফ্যাসিবাদ উৎখাত হয়েছে, আজকের এই নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। সেই জুলাইয়ের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে কিছু দলের অনিহা আমরা বুঝতে পারি না। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য আমরা তফসিলের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছি। জুলাইয়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপের জন্য পিআর পদ্ধতির কথা বলছি। আমাদের দাবির মধ্যে কোনো দলীয় স্বার্থ নেই। লক্ষ্য একটাই— দেশে যেন আর কোনো দিন স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা।”

বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আসুন, আলোচনার মাধ্যমে সব বিভেদ দূর করে একটি আনন্দমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করি।’

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় নির্বাচনী কৌশল ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে কৌশলগত আলোচনা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদি, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলমসহ আরও অনেকে।