Image description
 

সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ক দ্বিতীয় বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সুলভ ও নির্ভরযোগ্য প্রাপ্যতার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

 

নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপে এখনো আক্রান্ত দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ। সরকার ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া শুরু করলেও টেকসই অর্থায়নের অভাবে নিরবিছিন্নভাবে ওষুধ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত ‌‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়’শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৪ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চ রক্তচাপ। তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে তা অসংক্রামক রোগ ও অকালমৃত্যু কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সম্প্রতি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্ত:মন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়াতে সরকারের ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একটি ‘যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেছে যা উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।