
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের নবঘোষিত ৩৭০ সদস্যের বর্ধিত কমিটি ও ১৭টি হলের জন্য ঘোষিত ৮৮ সদস্যের কমিটিতে হত্যা মামলার আসামি, ছাত্রলীগের কর্মী ও ছিনতাইকারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে একদল বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী।
এ ইস্যুতে সোমবার ( ১৮ আগস্ট ) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়।
ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
শাখা ছাত্রদলের সূত্র জানায়, বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কমিটি বাতিলের দাবিতে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে আধা ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।
বিক্ষুব্ধদের দাবি, ‘হল কমিটি বাতিল করতে হবে। যদি নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে আমরা জাকসুকে সামনে রেখে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করব এবং ছাত্রদলের প্যানেল গঠনে কাজ করব। অন্যথায় আমরা কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নই।’
অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘জাকসুর আগে একটা পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এত বড় কমিটিতে কিছু ভুল-ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে। মঙ্গলবার ( ১৯ আগস্ট ) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে আমরা দু’পক্ষ বসব।’
এর আগে রবিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়ার উপস্থিতিতে আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকসহ কয়েকজন নেতা অবস্থান নেন। সে সময়ও বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি ও তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।