Image description

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল। কুলাউড়ার অনেক মানুষকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কুলাউড়ার কোনো মানুষ সাক্ষী দেয়নি। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে ১২ বছর। জামায়াত বা শিবির করার আগে আমি যে ছাত্র সংগঠন করতাম এখন এ সংগঠনের নাম নিতে লজ্জা হয়।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নিজ উপজেলা কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের আবাল বৃদ্ধ-বনিতা সব জায়গায়, ঘরে, রাস্তায়, কর্মস্থলে নিরাপদ থাকবে এমন একটা দেশ গড়তে চাই। আমরা এমন একটা দেশ দেখতে চাই যেখানে চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরদের জ্বালায় মানুষ অতিষ্ঠ হবে না। আমরা দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ চাই। আল্লাহ যতদিন আমাদের তৌফিক দিবেন ততদিন আমরা লড়াই চালিয়ে যেতে চাই দেশকে এইভাবে দেখার জন্য।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা শুরুতেই দাবি তুলেছিলাম চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য। যেখানে মালিক এবং শ্রমিক উভয় লাভবান হবেন। শ্রমিক উপযুক্ত শ্রমের মূল্য পেয়ে আনন্দের সঙ্গে কাজ করবে। যার ফলে মালিক আরও লাভবান হবে।

তিনি বলেন, আমরা অপদার্থ শিক্ষা ব্যবস্থা চাই না। শিক্ষিত হয়ে যাতে কেউ ডাকাতে পরিণত না হয় সেই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চাই না। যাদের অন্তরে মানুষের প্রতি ভালোবাসা নেই, এরকম ডাক্তার, শিক্ষক, আইনজীবী চাই না।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, দিশেহারা সরকার আমাদের নিষিদ্ধ করেছিল তখন আমি দোয়া করেছিলাম যারা হকের ওপর আছে আল্লাহ যেন তাদের সহযোগিতা করেন। যারা হকের ওপর নয় আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দেন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আগে শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। দেশে তারা জমিদার ছিল আমরা প্রজা ছিলাম। এ সরকার কোনো দিন মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করেনি।

 

কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট আঞ্চলিক টিম সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, মৌলভীবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রব, মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মৌলভীবাজার সভাপতি আলাউদ্দিন শাহ, ঢাকা পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, খেলাফত মজলিসের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আলতাফুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. আব্দুল হামিদ খান, মাস্টার আব্দুল বারী, খন্দকার আব্দুস সোবহান, মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলা আমির মোহাম্মদ আবু রাইয়ান শাহীন, জুড়ী উপজেলা আমির আব্দুল হাই হেলাল, বড়লেখা উপজেলা আমির মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, জেলা সভাপতি মো. নিজামুদ্দিন ও কুলাউড়া উপজেলা শিবির সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক।