Image description
 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি দ্বিতীয়বারের মতো তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছে। ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদ মুক্তির যে স্বস্তি নিয়ে দলটি তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছিল, এ বছর এসে সে পরিস্থিতিটি আর নেই। এ বছর ঘুরতেই বিএনপিকে এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীকে; লড়াইয়ের ধরনও বদলেছে।

দীর্ঘ পনেরো বছর যাবত বিএনপির প্রতিপক্ষ ছিল একটি দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকার। স্বৈরাচারী কায়দায় রাষ্ট্রকে ব্যক্তিমালিকানায় নিয়ে যাওয়া সেই শক্তির বিপরীতে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে রাজপথে রক্ত ঝরাতে হয়েছে; গুম, খুন হতে হয়েছে; কারাবরণ করতে হয়েছে। বিএনপির লড়াইটা ছিল জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের। পতিত সরকারের আমলে টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে একদলীয় নির্বাচন, ২০১৮ সালে নিশিরাতের নির্বাচন আর ২০২৪ সালে আমি-ডামির নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কেবল সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণই নয়; বরং দীর্ঘমেয়াদি ফ্যাসিবাদ কায়েম করে রাষ্ট্রের প্রতিটি উপাদানকে ধ্বংস করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করেছে, পুলিশ-প্রশাসনকে দলীয় আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এমনই একটা দুঃসময়ে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে রাজপথে সরব থেকেছে।

অতীতের দিকে তাকালে আমরা দেখি, বিএনপির জন্মই হয়েছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণের মধ্য দিয়ে। ১৯৭১ সালে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেতনায় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছিল, তা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে। শেখ মুজিবের অপশাসনে স্বাধীন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে প্রতারণা করা হয়। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিনাশ ঘটে; জনগণের মৌলিক অধিকারসমূহকে অবজ্ঞা করা হয়; মতপ্রকাশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করা হয়। শেখ মুজিব একদলীয় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেন। গণতান্ত্রিক ও বহুদলীয় রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সাথে করা এই প্রতারণাকে মেনে নিতে পারেননি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত হয় এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব প্রতিষ্ঠা করেন বাকশাল, যার মাধ্যমে সকল ক্ষমতাকে এক ব্যক্তির করতলগত করা হয়। জনগণের সকল ক্ষমতা ও স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়। ফলে নাগরিকের নাগরিকসত্ত্বার কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট রইলো না। চরম অরাজক সেই পরিস্থিতিতে একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনাসমূহ ঘটতে লাগলো। রাজনীতি ও গণতন্ত্রের সেই বেহাল দশায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হাল ধরলেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ পুনর্বার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো। সেনাছাউনি থেকে এসে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসীন হলেও তিনি সামরিক শাসনের পথে না হেঁটে এক অভূতপূর্ব নজীর স্থাপন করলেন। তার হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের শুভ সূচনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি সেই গণতন্ত্রায়ণ পরিক্রমার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক সংগঠন। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রয়োজনীয়তা তথা সাধারণ জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে। এদেশের মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, সে আকাঙ্ক্ষা পূরণে তৎকালীন রাজনৈতিক শক্তি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। কেবল ব্যর্থতাই নয়; বরং আধিপত্যবাদী শক্তির খায়েশ পূরণ করতে গিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের জাতিগঠনের আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রাপ্তির চেতনাকে ধারণ করেই পঁচাত্তর পরবর্তী ক্রান্তিকালে বিএনপির জন্ম। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন প্রক্রিয়ায় দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গকে শামিল করেছিলেন। গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে তিনি এদেশের আপামর জনতার দৃষ্টিভঙ্গি ও আকাঙ্ক্ষাকে বুঝতে চেয়েছেন।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমেই তিনি একটি সুনির্দিষ্ট দার্শনিক ভিত্তির ওপর বিএনপি গঠন এবং এর কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। শুরু থেকেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতিগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনাকে ধারণ করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। আর এ কারণেই বিএনপিকে সবসময় দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে নানাবিধ ঝড়-ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করতে হয়েছে। 

প্রতিবেশী ভারত কখনোই বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা চায় না। বাংলাদেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক বিকাশ ঘটলে দেশটির আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ থাকে না। তাই আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে তারা অব্যাহত সমর্থন দিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে সচেষ্ট হয়েছে। এ প্রকল্পেরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে- বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন। এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে সরিয়ে রেখে ভারত আওয়ামী লীগের মাধ্যমে নিজেদের হীন স্বার্থ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিলো। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলেও ভারত তার অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেনি। লজ্জাজনকভাবে পতিত স্বৈরাচারকে নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে সহায়তা প্রদান করছে। এই মুহূর্তে দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে এই বাস্তবতা সামনে রেখেই রাজনৈতিক কৌশল সাজাতে হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠায় বিএনপিকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। 

অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো, বাংলাদেশে যখনই গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে, বিএনপি ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। শেখ মুজিবের একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর যখন বাংলাদেশ অস্তিত্ব সংকটে ভুগছিলো, তখন জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এর কিছুকাল পরই স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা দখল করে এবং টানা নয় বছর সামরিক শাসনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে। স্বৈরাচার এরশাদের সময়ে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পতাকা হাতে তুলে নেন। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এদেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ভারত ও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র কখনোই শেষ হয়নি। এই দুই কূট শক্তির যোগসাজশে ওয়ান-ইলেভেন সংঘটিত হয় এবং বাংলাদেশ আবারও আধিপত্যবাদী শক্তির ক্রীড়া মঞ্চে পরিণত হয়। পরবর্তী ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা রয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিনিধি শেখ হাসিনা ক্রমশঃ দানবের আকার ধারণ করে বাংলাদেশকে পুনরায় একদলীয় শাসনব্যবস্থায় নিয়ে যায়। হাসিনার দীর্ঘ পনেরো বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি এক ঐতিহাসিক লড়াই করে গিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এই আন্দোলনের অনবদ্য সিপাহসালার। অফুরান রক্ত ঝরিয়ে অবশেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রায় দেড় হাজার আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে হাসিনার পতন ঘটেছে। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে বিএনপি। একক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে এই দলের অন্তত পাঁচ শত নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, যা যে কোনো মানদণ্ডে সর্বোচ্চ। বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনসমূহ, বিশেষ করে ছাত্রদলের, নেতাকর্মীরা জুলাই-আগস্টে যে বীরোচিত ভূমিকা রেখেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। 

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির এই ধারাবাহিক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়েই আজকের এই বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশকে নতুন করে গণতন্ত্রের ধারায় চালিত করার। বিএনপি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাবনার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র এবং জাতিগঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ফ্যাসিবাদের পনেরো বছরে রাষ্ট্রের ভঙ্গুর অবস্থা এখন দৃশ্যমান। বিএনপি এই বাস্তবতা অনুধাবন করেছে আরও আগেই। তাই ২০২৩ সালেই বিএনপি এই প্রস্তাবনা হাজির করেছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে এই ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের চলমান উদ্যোগের সাথে একেবারেই প্রাসঙ্গিক। 

তবে এই মুহূর্তে বিএনপিকে তার এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং একটি বাংলাদেশপন্থী জাতিগঠনের ক্ষেত্রে এক নতুন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এবং জনগণের ভোটাধিকার সহ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হয়েছে বিরাজনীতিকরণ, উগ্রবাদ এবং জনতুষ্টিবাদের একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের বশে একের পর এক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন পেছানো বা বানচালের চেষ্টা করে যাচ্ছে। দুঃখজনকভাবে এতে আখেরে লাভ হচ্ছে, পতিত স্বৈরাচার এবং তার মদদদাতা রাষ্ট্র ভারতের। মূলত এই ‘নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না’ প্রপঞ্চটির মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতিটাই প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কারণ পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ এবং ভারত স্পষ্টতই এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচন চায় না। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অপাঙক্তেয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলত তাদের চাওয়া হচ্ছে, নির্বাচন বানচাল করে দেশের অভ্যন্তরে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়া। 

৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই লগ্নে এসে বিএনপিকে এরকম বহুমাত্রিক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে রাজনীতি পরিচালনা করতে হচ্ছে। একদিকে দেশের প্রধানতম এবং দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে রাষ্ট্রগঠনের কাজে মনোযোগী হওয়া; অপরদিকে পতিত স্বৈরাচার এবং আগ্রাসী প্রতিবেশী ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা। এসবের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে উগ্রপন্থার ক্রমশ উত্থান বিএনপির জন্য একটি চিন্তার বিষয়। কারণ এর সাথে জড়িয়ে আছে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তথা সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ভূ-রাজনৈতিক ডামাডোলের এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে বিএনপিকে দেশের জনগণের ম্যান্ডেট যেমন অর্জন করতে হবে, তেমনই অর্জন করতে হবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলসমূহের আস্থা। প্রতিপক্ষ দলগুলোকেও বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশ ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে হলে বিএনপির সাথে বৈরিতা নয়; বরং সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে পারে কার্যকর পন্থা। এক্ষেত্রেও বিএনপিকে দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে যথাযথভাবে বোঝাতে হবে এবং কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে। 

বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণ পরিক্রমার মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি এই কাজটি করতে পারবে বলেই রাজনীতি সচেতন মানুষ প্রত্যাশা রাখে। গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতি গঠনে বিএনপির অতীত অঙ্গীকার এবং দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস এই প্রত্যাশার পক্ষেই কথা বলে। গণতন্ত্রকামী বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, বাংলাদেশের হোঁচট খাওয়া গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপির নাম ইতিহাসের পাতায় আরও একবার স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হবে। 

লেখক, ফারহান আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। -

ফারহান আরিফ