Image description
অন্তর্বর্তী সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে সক্রিয় বিদেশি কূটনীতিকরা

বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের মতামত দিতে শুরু করেছে। এর আগে ভারত ছাড়া আর কেউ দ্রুত নির্বাচনের কথা না বললেও এখন প্রায় সব পক্ষই চায় দ্রুত নির্বাচন। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দেয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারাও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মতামত দিচ্ছে। পাশাপাশি দাতা সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও নানাভাবে নির্বাচিত সরকারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তারা চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরুক। এ নিয়ে তারা বিএনপিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তৎপর বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিকরাও। তারা মনে করছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। এ বিষয়ে প্রফেসর ইউনূসের উপর তাদের পূর্ণ আস্থা আছে। স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তারা চাচ্ছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসুক। এ কারণেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি কূটনীতিকদের সক্রিয়তা দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরা ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের শেষ তিনটি নির্বাচনের মতো ভোটারবিহীন, রাতের ভোট কিংবা সব দলের অংশগ্রহণহীন নির্বাচন চায় না। তারা চায় দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রের পথে আসুক। এছাড়া নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন কোনো বড় বিরোধ তৈরি না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন মনে করছে সব পক্ষ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেসব বৈঠকে তারা এক ধরনের মধ্যস্থতা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন গত সোমবার প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। চলতি বছরের প্রথমার্ধ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ঢাকা ও লন্ডনে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দল, কমিশন, বিচার বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। এসব বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল নির্বাচন।

গত বছর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই রাজনীতির নতুন মেরুকরণ নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ বিদেশি কূটনীতিকরা বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন। তবে গত এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে প্রধান উপদেষ্টার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণার পর এ তৎপরতা আরো বেড়েছে। হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের এ তৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকবারের মতোই এবারো যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে নজর রাখছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহ যেমন রয়েছে, তেমিন গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপিও কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। নির্বাচন, সংস্কারসহ নানা বিষয়ে বিএনপি কূটনীতিকদের কাছে তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে। দলটির সঙ্গে দেশে অনেকবার বৈঠক করেছেন বিদেশি কূটনীতিকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বড় রাজনৈতিক পক্ষ বিএনপি। এর মধ্যে সরকার নির্বাচনের সময় জানিয়েছে। আর কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি, সুশাসন এবং গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের আগ্রহ বাড়ছে। বিগত নির্বাচনগুলোর সময়েও তারা সেই সময়ের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয় এ নিয়ে তারা সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এবারো তাই করছে। বিদেশিরা মনে করছে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি এবার বড় রাজনৈতিক পক্ষ। এজন্য তারা বিএনপিকে সবচেয়ে গুরুত্বও দিচ্ছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, ভারত-চীন-রাশিয়ার নতুন মেরুকরণ সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের এক ধরনের প্রভাব তৈরি করতে চায়। ফলে বিএনপিকে সম্ভাব্য নতুন সরকারের স্থানে ভেবে তারা নিজেদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায়।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক আগ্রহ নতুন নয়, কিন্তু এবারের সক্রিয়তা ও সময়সীমা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি যেমন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রতিফলন, তেমনই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও একটি বার্তা অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বিশ্ব এখন প্রত্যাশার চাপে রাখছে।

এর মধ্যে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রে তৎপরতার বিষয়টি বেশি আলোচনায় আসে। যদিও তারেক রহমান লন্ডনে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান, সরকার গঠনে তাদের পরিকল্পনা, দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে নানা কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম তারেক রহমান। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনপ্রিয় দল হিসেবে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির। ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কী করবে, তাদের পরিকল্পনা কী সেই আগ্রহ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিদেশিরা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। গত দুটি নির্বাচনে তারা তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, শ্রম অধিকার, সুশাসন এসব বিষয়ে নিয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। ফলে নির্বাচন সামনে রেখে তারা সব পক্ষের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

কূটনৈতিক মহল মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের এ সক্রিয়তা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি আগ্রহের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা ভিসানীতির কথাও উল্লেখ করেছেন। ২০২৩ সালের মার্কিন ভিসানীতি অনুযায়ী, ভোট প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিসা-নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এ নীতির কার্যকারিতা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র এখন সরাসরি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এ কৌশলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ প্রত্যাশার কথা জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে ইইউয়ের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চার মিলিয়ন বা ৫৬ কোটি টাকা একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রদান করবে বলে ঘোষণা করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। চলতি বছরের ২৪ জুন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনায় চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট দেখতে চায় বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। চলতি বছরের ১০ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। সারাহ কুক বলেন, আমরা আলোচনার জন্য এসেছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে আগ্রহী। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট চাই। বৈঠকে সারাহ কুকের সঙ্গে হাইকমিশনের রাজনৈতিক ও শাসন ব্যবস্থা দলের প্রধান টিমোথি ডাকেট উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ইতালি, সউদী আরব, পাকিস্তান, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচের দেশের কূটনীতিকসহ বিদেশি অন্যান্য মিশনের রাষ্ট্রদূতরাও প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আসছেন। তারা সবাই আশা প্রকাশ করে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘেরও রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। ঢাকায় সংস্থাটির আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জানিয়েছেন, আমরা আগামী দিনে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চাই। এই কাক্সিক্ষত নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয কারিগরি সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।