Image description

মৃত মায়ের সঙ্গে সন্তানের শেষ সাক্ষাৎ করিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কর্তৃপক্ষ। এই মানবিক উদ্যোগ ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে।

কারা কর্তৃপক্ষের ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক উদ্যোগ উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। কঠোর নিয়মের মাঝেও যে মানবিকতা কখনো হারিয়ে যায় না, কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন কালবেলাকে বলেন, গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে আরপি গেট থেকে ফোন করে জানানো হয়, একটি মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স কারাগারের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান করছে। অ্যাম্বুলেন্সটিতে ছিলেন ঢাকা হাজারীবাগ থানার অস্ত্র আইনের মামলার আসামি ও কারাবন্দি মো. মামুন হোসেনের মায়ের মরদেহ।

তিনি আরও বলেন, কারাবন্দি মামুন হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার ধানেশ্বর গ্রামের মৃত নীল মিয়ার ছেলে। তিনি গত ৫ অক্টোবর থেকে অস্ত্র আইনের মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ বন্দি আছেন। তার মা ছুফিয়া বেগম মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছা হিসেবে ছেলেকে একবার দেখার আকুতি জানান স্বজনদের কাছে।

আল মামুন বলেন, মায়ের সেই শেষ ইচ্ছাপূরণে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে কারাগারে উপস্থিত হন। যদিও প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫টার পর কারাগার তালাবদ্ধ হয়ে যায়, তবুও বিষয়টির মানবিক দিক বিবেচনায় কারা মহাপরিদর্শকের বিশেষ অনুমোদন গ্রহণ করে অ্যাম্বুলেন্সটিকে কারা কমপ্লেক্সে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

 

সিনিয়র জেল সুপার বলেন, পরবর্তীতে বন্দি মামুন হোসেনকে লকআপ থেকে বের করে এনে মায়ের নিথর দেহের পাশে শেষবারের মতো দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়। অশ্রুসজল চোখে তিনি মাকে শেষ বিদায় জানান।