Image description
 

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আবেগঘন এক পোস্টে তিনি দীর্ঘ ১৮ বছরের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।

আন্দালিব রহমান পার্থ লেখেন, 

 

‘আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলাম। কি বলবো বুঝে উঠতে পারি নাই।

২০০৮ সাল থেকে আমার সঙ্গে দেশনেত্রীর সম্পর্ক। সম্পর্কটা রাজনৈতিক হবার কথা থাকলেও সম্পর্ক  ছিল স্নেহের, শ্রদ্ধার আর আস্থার। ২০০৮ সালে বাবা ইন্তেকালের পর থেকে আমার জীবনটা যখন একটা পালবিহীন নৌকার মত ছিল ঠিক তখনি দেশনেত্রীর সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় মহান আল্লাহ। দেশনেত্রী আমাকে পাশে বসাতো, রাজনীতি বোঝাতো, প্রশংসা করতো, সংসদে আমার বক্তৃতা শোনার পর বলতো ‘পার্থকে আরো সময় বাড়িয়ে দাও ও ভালো বলে।’ 

লক্ষ লক্ষ মানুষের জনসভায় বলতো ‘এই যে পার্থ বলে গেল।’ আমার সেই বয়সে দেশনেত্রীর কাছ থেকে আসা সেই কথা রাজনৈতিকভাবে সারাদেশে আমার ভাবমূর্তি ভিন্ন স্তরে নিয়ে গিয়েছিল। ১৮ বছরের স্মৃতি লিখে শেষ করতে পারবো না।

শুধু একটা ঘটনা বলি— 

সাল ছিল ২০১৩/১৪। তৎকালীন  সরকার জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিল, অনেক গুঞ্জন ছিল ২০ দল ভেঙে যাবার। আমি গুলশান অফিসে গেলাম, দেশনেত্রীর রুমে ঢুকলাম, আমাকে দেখেই  দেশনেত্রী বললো ‘কি পার্থ তুমিও কি চলে যাচ্ছো’। আমি খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বলেছিলাম ‘আপনার গাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উঠার আগে, আমার গাড়িতে পতাকা উঠবে না ইনশাআল্লাহ।’ আজ দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী পদের বহু উপরে উঠে গিয়েছে। আজ উনি মানুষের হৃদয়ের প্রধানমন্ত্রী.. হৃদয়ের নেত্রী।

ধন্যবাদ দেশনেত্রী, বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য। 

ধন্যবাদ দেশনেত্রী, আমার পাশে থাকার জন্য।

 

আমি এবং আমার পরিবার আপনার কাছে চিরঋণী,  চির কৃতজ্ঞ। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত বাসি করুক।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। তাকে তার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।