২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শফিকুল ইসলাম আর নেই। দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শফিকুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। জুলাই আন্দোলনের উত্তাল সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। সেই ক্ষত নিয়েই দেড় বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন।
মঙ্গলবার ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সহযোদ্ধা, শুভানুধ্যায়ী ও সাধারণ মানুষ গভীর বেদনা প্রকাশ করেন।
এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নবনির্বাচিত সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য দোয়া করেন।
আন্দোলনের দেড় বছর পার হলেও এখনো অনেক আহত যোদ্ধা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শফিকুল ইসলামের মৃত্যু আবারও স্মরণ করিয়ে দিল জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ এখনো শেষ হয়নি। শহীদের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাটের দর্শার পার এলাকার মামা পাগলার মাজার মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।